এশিয়ান গেমসে ১৪০ অ্যাথলেট!

যেখান থেকে বারবার খালি হাতে ফেরে সেই হাংজু এশিয়ান গেমসে যাবে বাংলাদেশের ১৪০ জন অ্যাথলেট! ২০১০ গুয়াংজু ও ২০১৪ ইনচন এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটের চারটি পদক বাদ দিলে সাম্প্রতিককালে কোনো অর্জন নেই অলিম্পিক ডিসিপ্লিনগুলোর। তা-ও বহর বোঝাই করে আগামী বছর হাংজু এশিয়ান গেমসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এরই মধ্যে ১৫ ফেডারেশনের নাম চূড়ান্ত করেছে এবং প্রতিটি খেলার জন্য অ্যাথলেট সংখ্যার খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। সেগুলো হলো আর্চারি, কাবাডি, ক্রিকেট, ফেন্সিং, কারাতে, তায়কোয়ান্দো, ফুটবল, ভারোত্তোলন, দাবা, শ্যুটিং, সাঁতার, হকি, গলফ, জিমন্যাস্টিকস ও ব্রিজ। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এসএ গেমসের ফলাফলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে থাকতে পারে কিছু আন্তর্জাতিক ফলের প্রভাব। কিন্তু এশিয়ান গেমসে নিট ফল কী দাঁড়াবে? বাংলাদেশ অলিম্পিকের ট্রেনিং কমিটির সদস্যসচিব এ কে সরকারও ক্রিকেট বাদে তেমন সম্ভাবনার কথা বলতে পারেননি, ‘ক্রিকেটে পদকের সুযোগ আছে। বাকি ডিসিপ্লিনগুলোর মধ্যে শ্যুটিং ও আর্চারি নিয়ে খানিকটা আশা থাকে, এ ছাড়া কিছুই তো দেখি না।’ ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট যোগ হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ প্রথম সোনা জেতে গেমস ইতিহাসে। মেয়েরাও রুপা জেতে সেবার। ইনচনে পরের আয়োজনে ছেলেরা ব্রোঞ্জে নেমে এলে মেয়েরা রুপায় তাদের মান বজায় রাখে।

অথচ এই গেমস ঠিক ক্রিকেটের নয়, অলিম্পিক ডিসিপ্লিনগুলোর। তারা যে বরাবরই ব্যাকবেঞ্চার সে নিয়ে হেলদোল নেই ফেডারেশনগুলোর। এর পরও গেমসে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়। যেতে না দিলে আবার শোরগোল তোলে। অ্যাথলেটিকস যেমন জায়গা না পেয়ে রুষ্ট অথচ এই ফেডারেশন এবং বাইরে থাকা সংগঠকরা মিলেই খেলাটিকে বিবর্ণ করে দিয়েছেন।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ