এশিয়াডে সাবিনাদের কোচ টিটুই

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের নতুন কোচ সাইফুল বারী টিটুর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা অবশেষে কেটেছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অনুরোধ আমলে নিয়েছে অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া এবং হাংজু গেমস কর্তৃপক্ষ। সাইফুল বারী টিটুর রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন হওয়ায় অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে ডাগ আউটে দাঁড়াতে আর বাধা নেই সাবেক এই জাতীয় ফুটবলারের।

সাবিনাদের নতুন কোচ টিটু এশিয়ান গেমসে কোচিংয়ের ব্যাপারে বলেন, ‘তিন দিন আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে জেনেছি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এটা সাধারণত হয় না। বিওএ এবং বাফুফের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।’

সাইফুল বারী টিটু এর আগেও তিনটি এশিয়ান গেমসে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৯০ সালে খেলোয়াড় আর ২০১০ ও ১৪ সালে কোচ হিসেবে। এবারও কোচ হিসেবে যাচ্ছেন তবে একটু ভিন্ন দায়িত্বে,‘আমার এটি চতুর্থ এশিয়াড। অন্যগুলোর তুলনায় অবশ্যই ভিন্ন। নারী দলে প্রথম কোচ এবং নারীদেরও প্রথম এশিয়ান গেমস।’

রেজিস্ট্রেশন জটিলতা নিষ্পত্তি হওয়ায় এখন ফুটবল ফেডারেশন অনেকটা নির্ভার। তবে টিটুর মনোযোগ অ-১৭ দল নিয়েও,‘মানসিকভাবে আমি ভিয়েতনাম যাওয়ারও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। এখন রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় হয়তো চীনেই যাওয়া হবে। তবে দু’টো টুর্নামেন্টের জন্যই সেরা প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্য। ’ দুই দলকে দুই সপ্তাহ অনুশীলন করিয়ে তার পর্যবেক্ষণ,‘জুনিয়র দলের ফিটনেস লেবেল অসাধারণ। সিনিয়র দলেরও শেখার আগ্রহ রয়েছে।’

বাংলাদেশের ফুটবল সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চার এশিয়াডে উপস্থিতি খুবই কম। তাই টিটু নিজেকে একটু সৌভাগ্যবানই মনে করছেন,‘একদিক থেকে আমি সৌভাগ্যবান কারণ অনেক বড় ফুটবল ব্যক্তিত্ব এশিয়াডে খেলতে কিংবা কোচিং করাতে পারেননি। নানাভাবে আমার চারটি এশিয়াড হচ্ছে।’

বাংলাদেশের দুই কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন ও আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু টপ ফর্মে থেকেও ৭৮ ও ৮২ এশিয়াড খেলতে পারেননি। ৭৮ সালে অধিনায়ক নিয়ে দ্বন্দ্বে আবাহনীর সাত ফুটবলার এশিয়াডে যাননি। ৮২ সালে জেল ঘটনাতেও সালাউদ্দিন ও চুন্নুর এশিয়ান গেমস খেলা হয়নি। এশিয়ান গেমস খেলতে পারেননি এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ফুটবল অধিনায়ক জুয়েল রানাও।