এলিমিনেটরে টস জিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে হায়দরাবাদ

উপমহাদেশের সমাজে যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদেরকে পদে পদে শিকার হতে হয় নানা বিড়ম্বনার। যেন নির্যাতিত হওয়াটাই তাদের ‘অপরাধ’। ক্ষেত্রবিশেষে বিচার পেলেও পরবর্তীতে তাদের বেশিরভাগেরই আর সংসার করা হয়ে ওঠে না বিভিন্ন কারণে। তাদেরকে বিয়ে করতে চান না বেশিরভাগ পুরুষই। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের দৃষ্টান্ত গড়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক তরুণ।

পশ্চিমবঙ্গের কুলতলি এলাকার ওই তরুণ স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে। ওই নারী নিজের দাদুর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

জানা গেছে, ওই তরুণীর জন্মের পর পরই বাবা তাদেরকে ফেলে অন্য একটি রাজ্যে গিয়ে আবার সংসার শুরু করেন। কষ্ট করে মেয়েকে বড় করে তুলছিলেন মা। কিন্তু একদিন তার মায়েরও মৃত্যু হয়। এরপর সেই তরুণী মায়ের বাবার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিলেন।

কিন্তু ২০১৩ সালে নভেম্বরের কোনো এক সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পরপর পাঁচদিন তাকে ধর্ষণ করে দাদু। মেয়েটি তখন ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

তখন ঘটনাটি পূর্বপরিচিত ওই যুবককে জানায় নাবালিকা। পরে তার ও একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নির্যাতিত নারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে (হোম) গিয়ে ওঠেন ওই নারী। তারপরেও ওই যুবকের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ১৮ বছর বয়স হলে মেয়েটি অন্যত্র গিয়ে ওঠেন।

এরপর একদিন ওই যুবকের কাছে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি রাজি হয়ে যান। এরপর হোমের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তরুণী। কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ