এরদোয়ানকে ‘অসম্মান’ করে টুইট, প্রবীণ সাংবাদিকের ৮ বছর জেল

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ‘অসম্মান’ করে দুটি টুইট করায় এক প্রবীণ সাংবাদিককে ৮ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে টুইট দুটি করেন হাসান সেমাল। টি২৪ নিউজ ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য জানায় স্টকহোম সেন্টার ফর ফ্রিডম।

প্রথম টুইটটি করা হয় ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই, তুরস্কে একটি বিতর্কিত অভ্যুত্থানের চার দিন পর। টুইটে সেমাল লেখেন, গণতন্ত্রের মাপকাঠি শুধুমাত্র সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো নয়। এটি একটি গভীরতর ‘এরদোগান অভ্যুত্থান’কে না বলাও।

অভিযোগে উল্লেখ করা দ্বিতীয় টুইটটি হলো ‘দ্য খিলাফত’ শিরোনামে অধ্যাপক মুরাত বেলজের একটি মতামতের ওপর একটি মন্তব্য। টুইটে লিঙ্ক শেয়ার করে সেমাল বলেছিলেন, ‘যদি খিলাফত ফিরে আসে, আমি মনে করি খলিফা হবেন তাইয়েপ এরদোয়ান’।

অক্টোবরে তার প্রথম সাক্ষ্যে সেমাল (যিনি টি২৪ নিউজ ওয়েবসাইটের জন্য লেখেন) বলেছিলেন, টুইটগুলোতে কোনো অপমান নেই এবং তিনি তার মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করছেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা তুর্কি দণ্ডবিধির বিতর্কিত ধারা ২৯৯-এর অধীনে ফৌজদারি অভিযোগসাপেক্ষে দেশের হাজার হাজার লোকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যাদের অধিকাংশই এরদোয়ানকে ‘অপমানের অভিযোগে’ কারাবাসের হুমকির মুখে। কেউ যদি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করে তবে তার চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এটি এমন একটি সাজা যা অপরাধ সংঘটিত হলে বাড়ানো যেতে পারে।

অপমানের ঘটনাগুলো সাধারণত এরদোয়ানবিরোধীদের দ্বারা শেয়ার করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো থেকে আসে। তুর্কি পুলিশ এবং বিচার বিভাগ এরদোয়ান বা তার সরকারের সামান্য সমালোচনাকেও ‘অপমান’ বলে মনে করে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ