বুধবার , ১২ জুন ২০২৪ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘এমপি আজীম খুনের তদন্তে নতুন মোড়’

Paris
জুন ১২, ২০২৪ ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মিনিট আগে
এমপি আজীম খুনের তদন্তে নতুন মোড়— এটি আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার তদন্ত যেন নতুন মোড় নিল। তদন্তসংশ্লিষ্টরা শুরু থেকে বলছিলেন, স্বর্ণ চোরাচালান- কেন্দ্রিক বিরোধ ও লেনদেনের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড। কিন্তু হঠাৎ করে সামনে আসছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা।

আজীম হত্যার ঘটনায় এবার আটক করা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে। রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও চার নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এর আগে এমপি আজীমকে অপহরণ ও গুমের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামাল আহমেদ বাবুকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন ডিবি।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের চার নেতা হত্যার ঘটনা জেনেও কেন গোপন রেখেছিলেন, তারা কিভাবে ছবি পেলেন, হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা ছিল কি না—এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নজরদারিতে থাকা নেতাদের দেশত্যাগে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের যেকোনও সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।

আনার হত্যা: মিন্টুর টার্গেট ছিল এমপি হওয়ার— মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, তিন বারের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিমুল ভূঁইয়া তদন্তকারী কর্মকর্তাদের যেসব তথ্য দেন, তাতে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নামও উঠে আসছে।

শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

এই বাবু ও শিমুল ভূঁইয়ার দেওয়া তথ্যমতেই গতকাল ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে এবার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকেও ফ্রেফতার করে ডিবি।

ডিবি’র তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এমপি আনারের সঙ্গে একসময় সুসম্পর্ক ছিল মিন্টুর। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব, ঝিনাইদহ-৪ সংসদীয় আসন এবং সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব লাগে আনারের সঙ্গে। টানা তিন বার আনার ওই আসনটি দখল করে আছেন।

সেখানে অন্য কেউ সুযোগ পাচ্ছেন না। সাবেক এমপিও যেমন মনোনয়ন পাননি, ঠিক তেমনি মিন্টুও অনেক তদবির করে বঞ্চিত হন। এতে করে মিন্টুর মধ্যে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কারণ তার নজর বা টার্গেট ছিল ওই আসন থেকে এমপি নির্বাচন করার। আনারের কারণে সেটি পারছিলেন না।

আনার হত্যাকাণ্ডের সাথে ঝিনাইদহের একাধিক এমপি জড়িত থাকার বিষয়টি ইত্তেফাক পত্রিকার ‘স্বর্ণ চোরাকারবারিদের সুরক্ষায় প্রভাবশালী একাধিক এমপি’ শীর্ষক প্রধান শিরোনামেও উঠে এসেছে।

ধরা পড়েন শুধু বাহকেরা, আড়ালে রয়ে যান ‘বড়রা’— এটি দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলা ঝিনাইদহ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরে সোনা চোরাচালানের অন্যতম পথ বা রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জেলাগুলোতে ভারতে পাচারের সময় প্রায়ই সোনার বড় বড় চালান ধরা পড়ে।

তবে আটক হন শুধু সোনা বহনকারী বেকার তরুণ, ভ্যান-রিকশাচালক ও গ্রামের মানুষেরা। মামলার রায় হলে সাজাও হয় শুধু তাঁদের। কিন্তু চোরাচালানের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে পারে না পুলিশ।

তিন জেলার সীমান্তে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক বছরে তিন জেলার সীমান্তে অন্তত ১৩০ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২৮ কোটি টাকা। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫৩টি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যে পরিমাণ সোনা ধরা পড়ছে, চোরাচালান হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি।

দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদন বলা হয়েছে, অবৈধ পথে অর্জিত বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের কাছে হিন্দুরা ভয়ে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

অভিযুক্তরা বলেছেন, বাজারে জমির যে দাম ছিল, তার অর্ধেক দামে তারা তাদের জমি বিক্রি করেছিলেন তখন। কারণ এছাড়া তাদের হাতে আর কোনও উপায় ছিল না।

এমন পরিবারও আছে, যারা একসময় নিজেদের গবাদি পশু বিক্রি করে অনেক কষ্টে-সৃষ্টে জমি কিনেছিলেন। কিন্তু ২০ বছর পর মাত্র দুই লাখ টাকায় তাদেরকে বেনজীর আহমেদের কাছে সেই জমি বিক্রি করতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গোপালগঞ্জ সদর ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কয়েক শত মানুষ তাদের পারিবারিক জমি তার কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ভুক্তভোগীদের প্রত্যেকেই বলেছেন, বেনজীরকে ভয় না পেলে তারা তাদের জমি বিক্রি করতো না।

স্থানীয়দের মতে, বেনজীরের লোকেরা জমির ম্যাপ তৈরির জন্য এলাকায় ড্রোন ওড়াতো। তারপর বিভিন্ন প্লটকে লাল ও সাদা রঙ্গে চিহ্নিত করতো এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিতো যে তাদের কোন জমিটা লাগবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - অপরাধ ও দুর্নীতি