এমন হারের পর যা বললেন মাহমুদুল্লাহ

টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেরাই উড়ে গেল বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটের বড় হারে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ -এ ড্র হয়ে গেল। গতকাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১১৫ রানেই আটকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ১৪ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। মাত্র ৪৫ বলে ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছেন আফগান ওপেনার হযরতুল্লাহ জাজাই। আরেক ব্যাটসম্যান ওসমান গনি খেলেছেন ৪৫ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৯ রানের জুটিতে সহজ জয় পায় সফরকারী। মাত্র ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফারুকী। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ওমরজাই। দুই পেসার বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদ ই ভেঙে দিয়েছেন। ওয়ানডে সিরিজেও টাইগারদের ভুগিয়েছেন ফারুকী, টি-২০তেও দেখালেন দাপট। তবে কাল লিটন, সাকিব ও আফিফের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তিনটি নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ওমরজাই। আর দুই ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে দাপুটে ব্যাটিং করে সিরিজ সেরা হয়েছেন ফারুকী। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং -তিন বিভাগেই ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। উইকেটে যে জু জু ছিল না তা আফগানদের ব্যাটিংয়ের সময়ই বোঝা গেছে। অতিরিক্ত সমীহ করতে গিয়েই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। টপ অর্ডারের পাশাপাশি মিডল অর্ডারও ব্যর্থ। বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। মুশির সঙ্গে মাহমুদুল্লাহর ৪৩ রানের জুটিটিই সর্বোচ্চ। হতাশার ব্যাটিংয়ের পর তাই বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে।

ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট খুবই ভালো ছিল। অন্তত ১৫০ রান হলে ভালো হতো। কিন্তু আমাদের ব্যাটিং আমাকে হতাশ করেছে।’

বোলাররাও সুবিধা করতে পারেননি গতকাল। আর ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছেতাই। একের পর এক ক্যাচ মিস। ভুলের সমাহারে ম্যাচ থেকেই ছিটকে গেল বাংলাদেশ। তবে সিরিজটি দুই ম্যাচের হওয়ায় হারতে হচ্ছে না। দুই দল যৌথভাবে ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশন করেছে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন