যেভাবে নষ্ট হচ্ছে রাজশাহীতে রেলওয়ের তেল


নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুপুর সোয়া দুইটা। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্লার্টফর্ম। সেখানে দুই পাশের ট্রেনের লাইনে মাঝের ফাঁকা স্থানে ‘ভাল্প’র (অস্থায়ী তেল রাখার জায়গা) বসানো হয়েছে। সেই ভাল্প’র পাইপ দিয়ে অবিরাম তেল পড়তে দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ তেল পরে আশে-পাশের ভিজে গেছে।

এখানে যে কোনো সময় যাত্রীদের ফেলা সিগারের আগুন থেকে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবে ঘটনাস্থল দেখে বোঝা যায়, প্রায় তেল পরে সেখানে। আশে-পাশের পাথরগুলো দেখে তেল পরার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই ভাল্পের পাশেই থেমে ছিল রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া কপোতক্ষ এক্সেপ্রেস ট্রেনটি। যাত্রীদের ধারণ অপর লাইনে আরেকটি ট্রেন থেমে ছিল। সেই ট্রেনের ইঞ্জিনে তেল দেয়া হয়। এর পরে সেই ট্রেনও চলে গেছে। স্থানীয় যাত্রীদের ভাষ্য আধা ঘণ্টা আগে ট্রেন গেছে। তাহলে ধরে নেওয়া যায়, আধা ঘন্টা আগে থেকে তেল পড়ছিলো মাটিতে।

এর আগে প্রথমে দূর থেকে পানি মনেও হলেও পরে কাছে গিয়ে দেখা যায় তেল। এমনভাবে তেল পড়ার ছবি তোলার কিছুক্ষণ পরে এক ব্যক্তি এসে ভাল্প’র ঢাকনা তুলে তা দ্রুত বন্ধ করে দেন। এর পরে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

আশে-পাশের কয়েকজন যাত্রীরা জানান, এভাবেই সরকারি তেল মাটিতে ফেলে নষ্ট করার বিষয়টি দুঃখজনক। এতে দেশের সম্পদ নস্ট করা হচ্ছে।

তবে একটি সূত্র বলছে, পদ্মা, মেঘনাসহ কয়েকটি কোম্পানির তেলের ডিপো আছে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে। এই কোম্পানিগুলোর থেকে তেল নেয় রেলওয়ে। তাহলে তেল বাবদ টাকাও পরিশোধ করতে হয় রেলকে। এভাবে তেলের অপচয় হলে রেলের টাকা অপচয় হচ্ছে।

এবিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী পাকশীকে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি; তাই এবিষয়ে তার কোন মন্তব্য জানা যায়নি।

তবে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান, ‘এভাবে মিস ইউসি (অপচয়) হওয়া ঠিক নয়।’

স/আর