এবার মেয়েদের ক্রিকেটে ফিক্সিং ভুত!

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

ফিক্সিংয়ের ভুত এবার চেপে বসেছে মেয়েদের ক্রিকেটেও! আগামী ২২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে মেয়েদের অ্যাশেজ সিরিজ। তার আগেই ফিক্সিংয়ের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, জুয়াড়িরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে এই সিরিজে। ইংল্যান্ডে আয়োজিত নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের সাফল্যের ঠিক পরেই এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিফ এগজিকিউটিভ টোনি আইরিশ মন্তব্য করেছেন, এবার নারী ক্রিকেটকে টার্গেট করতে পারে জুয়াড়িরা। তিনি বলেছেন, ‘নারী ক্রিকেট যে রকম জনপ্রিয় হচ্ছে এবং টিভিতে স্থান পাচ্ছে, তা জুয়াড়িদের নজরে পড়তে পারে। ‘

তিনি আরও বলেছেন, ‘পুরুষ ক্রিকেটারদের যে রকম দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা দেওয়া হয়, তা নারী ক্রিকেটের থেকে অনেকটাই আলাদা। ‘

চলতি বছরের জুলাইয়ে লর্ডসে আয়োজিত আইসিসি নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ৭৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বেটিং হয়েছিল বেটফেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠানে। যা ২০১৩ ফাইনালের থেকে ৮.৫ শতাংশ বেশি! খেলার উপর একটি জনপ্রিয় পরিসংখ্যান সংস্থার থেকে জানা গিয়েছে, এবারের ফাইনালে দেড়শটিরও বেশি সংস্থা নারী ক্রিকেটের বেটিংয়ে আগ্রহী ছিল। বাজার-বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের তুলনায় নারী ক্রিকেটে বেটিংয়ের হার অতিরিক্ত বেড়ে ওঠার কারণে দুর্নীতির ভয়ও এখন অনেক বেশি।

ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইরিশ এ নিয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করেছেন আইসিসিকে।
ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে বিদ্রুপ করে তিনি বলেছেন, ‘আইসিসির পুরুষ ও নারী ক্রিকেটের দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা এখনও সে রকম চালু হয়নি এবং তা নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে বেশ খারাপ দিন দেখতে হতে পারে ক্রিকেটপ্রেমীদের। ‘

ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর ক্লেয়ার কোনর স্বীকার করেছেন যে, নারী ক্রিকেটে বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তাই ভয়ের কারণ। তিনি বলেছেন, ‘নারী ক্রিকেট এখন অনেক বেশি টিভিতে দেখানো হয়। নারী ক্রিকেটাররা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম অর্থ উপার্জন করে। সেটাও একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। ‘

কোনর আরও বলেছেন, ‘উপযুক্ত শিক্ষা এবং সচেতনতা আর দেশপ্রেমই দুর্নীতি বন্ধ করার একমাত্র উপায়। ‘