এবার মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহেও হবে ঈদের জামাত

আসছে ২১ জুলাই দেশব্যাপী উপযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে ঈদের জামাত নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

নির্দেশনা বলা হয়েছে, এবার মসজিদের পাশাপাশি খোলা জায়গাতেও ঈদের জামাত হবে। ফলে, মহামারী পরিস্থিতিতে তিনটি ঈদের পর এবার ঈদগাহে ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হল।

মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা এবং সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

তবে ঈদের জামাত আয়োজনে বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হলো- মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। এছাড়া প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদ বা ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে- মসজিদ বা ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা এবং প্রবেশদ্বারেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আর ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

দেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ওই বছরের দুই ঈদের জামাতই মসজিদে আদায় করতে হয়। এ বছর গত ১৪ মে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতও হয়েছিল মসজিদেই। তিন ঈদ পর এবার ঈদগাহে জামাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা।

সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন