করোনাকাল ডেলিভারি বয়ের কাজ করছে কুকুর

আট বছরের চকোলেট রঙের ল্যাব্রাডর এরস। ছোট সেই কুকুর ‘এরস’‌ এখন কলোম্বিয়ার পাহাড়ি গ্রামের ‌’হিরো’। সে তার মুখে একটি ঝাঁপিতে তরকারি, ফল নিয়ে বাড়ি বাড়ি ডেলিভার করে আসে। তার চিন্তা সামাজিক দূরত্ব নিয়ে। তাই কাউকে বের হতে দেয় না।

গ্রামের একাধিক বাড়ির বাজারটা সে নিজে হাতে করে দেয়। মালিককে ফোন করে দিলে ঠিক সময়ে এরস জিনিস নিয়ে পৌঁছে যাবে। কিন্তু ডেলিভারির পর আদর না করলে আর কোনও উপহার না দিলে এরস খদ্দেরের বাড়ি ছেড়ে বের হবেই না।

এরসের মালক মারিয়া নাটিভিদাদ বোতেরো বললেন, ‘‌এরস ছিল বলেই আমাদের কাজ কমে গেছে। নয়ত পাহাড়ি পথ ধরে কীভাবে ঘরে ঘরে সব্জি পৌঁছে দিতাম।’

এরসকে প্রথম প্রথম মেনে নেয়নি বোতেরো পরিবার। কিন্তু ছেলের চাপে পড়ে এরসকে ঘরে ঢুকতে দিতে হল মারিয়াকে। কিন্তু ভালবেসে ফেলতে দেরি হল না। চার বছর আগেই যখন তিনি মিনি মার্কেট খুললেন, তখন থেকেই শুরু হল এরসকে ডেলিভারির প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ।

এরস ঠিকানা পড়তে পারে না। কিন্তু সে মালিকের ভাষা বোঝে। তাই বুঝে যায় খদ্দেরদের নাম। তার গলায় ঝাঁপি ঝুলিয়ে দিয়ে খদ্দেরের নাম বলে দিলেই সে তার বাড়ি চলে যায়। সবজি ছাড়াও ঝাঁপিতে থাকে রসিদ। খদ্দেররা রসিদ পড়ে বোতেরোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়।

কলোম্বিয়ায় প্রত্যেকদিন তিন হাজার করে নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। যথারীতি সরকার ফের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ডেলিভারি বয়ের খুব প্রয়োজন এই সময়ে। সেই কাজটি খুশি মনে করছে আট বছরের কুকুর এরস।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন