সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: নরসিংদীর গাবতলী এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ বা এর ভেতর থেকে আত্মসর্মপণকারী ব্যক্তিদের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। প্রাপ্ত তথ্যগুলো র্যাব যাচাই করছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে গাবতলীর ওই বাড়ির কাছেই প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘খবর ছিল সিলেটের জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের সদস্যদের সঙ্গে এদের (গাবতলীর এই বাড়ির লোকদের) সম্পৃক্ততা ছিল। তাদের (যাদের বাড়ির ভেতর থেকে বের করে আনা হয়েছে) জিজ্ঞাসাবাদ করে বলা সম্ভব হবে। মাত্র দশ মিনিট হয়েছে। এখনই বলা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য জঙ্গি আস্তানায় নিহতদের পরিবারও দাবি করছে এরা (নিহতরা) কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। পরিবার বিশ্বাস করতে পারে না যে, তাদের পরিবারের সদস্যরা জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে।’
নির্মাণাধীন এই বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। ডক্যুমেন্ট ছিল। তবে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনের সঙ্গে এখানের অবস্থা মেলে না। আমরা ভেরিফাই করছি। যারা ভাড়া নিয়েছিল তাদের মধ্যে কয়েকজন নাই, নতুন কয়েকজন যুক্ত হয়েছে।’
উদ্ধারকৃতরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা এখনই বলা সম্ভব না জানিয়ে মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটু পেছনের দিকে গেলেই তাদের সম্পৃক্ততা বোঝা যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটা রুমের ভেতরে তল্লাশি করেছি। সেটার ভেতরে কোনও অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। তবে বাকিগুলো তল্লাশি করা হবে।’
দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের বিষয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘তার পরিবার দাবি করেছে, সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে। সে আমাদের হেফাজতেই আছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গতকাল শনিবার বিকাল ৪টা থেকে আমাদের অভিযান শুরু হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং এলাকায় জনবসতি থাকায় গতকাল রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। এরপর আজ সকালে আমরা আস্তানায় থাকা জঙ্গিদের স্বজনদের নিয়ে আসি। তাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হই। আমাদের উদ্দেশ্যই ছিল তাদের আত্মসমর্পণ করানো।’
এর আগে রবিবার সকালে ওই বাড়ির ভেতর থেকে পাঁচ জনকে বের করে আনা হয়।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন