এক স্মিথকে ছাড়িয়ে আরেক স্মিথকে ধরলেন কোহলি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিরাট কোহলি আর সেঞ্চুরি চলে হাত ধরাধরি করে।হালের ক্রিকেটে এটি এখন প্রচলিত বাক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেনে গোলাপি বলে দিবারাত্রির ঐতিহাসিক টেস্টেও শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। তাইজুল ইসলামের বলে ডাবলস নিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন এ ব্যাটিং মায়েস্ত্রো। এটি তার ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি।

এ নিয়ে একাধিক কীর্তি গড়েন কোহলি। প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দিনরাতের টেস্টে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করেন তিনি। বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথকে ছাড়িয়ে গেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে অজি ব্যাটিং মাস্টারের সেঞ্চুরি ২৬টি।

পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডারের কাতারে বসেছেন কোহলি। সাবেক প্রোটিয়া ও অজি ব্যাটিং কিংবদন্তিরও টেস্টে ২৭টি করে সেঞ্চুরি আছে। টাইগারদের বিপক্ষে তিন অংক ছোঁয়া ইনিংস খেলে তাদের ধরে ফেললেন টিম ইন্ডিয়া ক্যাপ্টেন।

ক্রিকেটের লংগার ভার্সনে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (৫১) ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের। স্বদেশী লিটল মাস্টারকে কত দ্রুত স্পর্শ করেন কোহলি এখন সেটাই দেখার। তবে ইডেনে তার কৃতিত্বে হতাশায় নিমজ্জিত বাংলাদেশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ উকেটে ২৮৯ রান তুলে লাঞ্চে গেছে ভারত। এরই মধ্যে ১৮৩ রানের লিড নিয়েছে তারা। কোহলি ১৩০ ও রবীন্দ্র জাদেজা ১২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।

প্রথম দিনের ৩ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। ওই দিনই ৬৮ রানের লিড নেয় তারা। সেটা যথাসম্ভব বাড়িয়ে নিতে কোহলি ৫৯ ও অজিঙ্কা রাহানে ২৩ রান নিয়ে নতুন দিনে ব্যাটিং শুরু করেন। সেই লক্ষ্যে দারুণ ব্যাট করেন তারা।

ক্রিজে জমে যান কোহলি-রাহানে। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। ছোটান স্ট্রোকের ফুলঝুরি। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটে টিম ইন্ডিয়া। তবে হঠাৎ থেমে যান রাহানে। তাইজুলের ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি (৫১)। ফলে কোহলির সঙ্গে ভাঙে তার ৯৯ রানের ভয়ংকর জুটি।

এর আগে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের ৮ ব্যাটসম্যানই ২ অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ০ মারেন তিন ‘ম’ মুশফিক-মুমিনুল-মিঠুন। সর্বোচ্চ ২৯ করেন ওপেনার সাদামান। আর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরা লিটন করেন ২৪ রান।

ভারতের হয়ে ইশান্ত শার্মা নেন সর্বাধিক ৫ উইকেট। উমেশ যাদব শিকার করেন ৩ উইকেট। আর মোহাম্মদ শামি ঝুলিতে ভরেন ২ উইকেট।