সোমবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

এক ভাগাড়ে অতিষ্ঠ হাজার মানুষ

Paris
ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ ১:০৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


এক ভাগাড়ে অতিষ্ঠ হাজারও মানুষ। সম্প্রতি খোলা স্থানে এমন ভাগাড় করেছে কাটখালী পৌরসভা। পৌরসভাকাণ্ডে অতিষ্ঠ ভাগাড়-সংলগ্ন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। কাটাখালী হাটের পচনশীল সব আবর্জনা ফেলা হয় ওই ভাগাড়ে। আশে-পাশের বাসিন্দাদের দুর্গন্ধে বসবাস করা দায় হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, ঘনবসতি এলাকা থেকে তুলে অন্যত্রে সরানো হোক এই ভাগাড়টি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি পৌরসভার না হলেও সেখানে ভাগাড় করেছিলেন বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলী। জমির প্রকৃত মালিক কাটাখালী পৌরসভার মাসকাটাদিঘি এলাকার নাজিম উদ্দিন।

জানা গেছে, নাজিম উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলীর চিকিৎসার টাকার জন্য ১ লাখ ২২ হাজার টাকায় ওই জমি হানিফ নামের এক ব্যক্তির কাছে বন্ধক রাখেন। পরে হানিফ ওই জমি বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীর কাছে বন্ধক রাখেন। আব্বাস আলী ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ওই জমির উপরে ভাগাড়টি করেছিলেন।
ভাগাড়ের উৎকট দুর্গন্ধের ফলে দেওয়ানপড়া ও হাজরাপুর এলাকায় যাতায়াত করা মানুষদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। ভাগাড় সড়কের পাশে হওয়ায় চলাচলরত হাজারও মানুষকে দুর্গন্ধের মধ্যে দিয়ে নাকে কাপড় দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়।

শুধু তাই নয়, ভাগাড়ে ফেলে যাওয়া হাঁস, মুরগির নাড়িভূঁড়ি, গরু-মহিষ জবাই করা রক্ত ও বর্জ এখানেই ফেলা হয়। সেগুলো দিনের বেলায় কাক ও কুকুর টানাটানি করে। মুরগির নাড়িভূঁড়ি ও পাখনা কাকেরা মুখে করে নিয়ে আশেপাশের বাড়ির ছাদ-আঙিনায় ছড়ায়। ফলে দুর্বিসহ যন্ত্রণার সম্মুখিন হতে হয় আশপাষের মানুষদের। এছাড়াও রাতের দিকে শেয়ালেরা দল ধরে আসে ভাগাড়ে। রাতভর চলে শেয়াল ও কুকুরের চেচামেচি। অনেক সময় মরা কুকুর, বিড়াল এই ভাগাড়ে ফেলে যায় পৌরসভার কর্মীরা। ফলে গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয়রাই দায়িত্ব নিয়ে মাটি চাপা দেন।

নাজিম উদ্দিন জানান, পুরো জমি এক বিঘা আড়াই কাঠা। হানিফ নামের এক ব্যক্তির কাছে ১ লাখ ২২ হাজার টাকায় বন্ধক রাখা হয়। এই হানিফ পরে আব্বাস আলীর (বরখাস্তকৃত মেয়র) কাছে বন্ধক রাখেন। আব্বাস আলী ময়লার ভাগাড় করেছে।
তিনি বলেন, ছেলে চিকিৎসা আর আব্বাসের কাছে অসহায় হয়ে জমি রাখতে হয়েছে। আব্বাস ময়লার ভাগাড় করার কারণে এলাকার মানুষ নানা কথা বলে আমাকে। আমিও চাই এলাকাবাসীর স্বার্থে এখান থেকে ভাগাড়টি অন্যত্রে নিয়ে যাওয়া হোক।’

স্থানীয় বাসিন্দা মোসা. রজুয়া বেগম জানান, ‘এখানে ১০ বছর আগে থেকে বসবাস করি আমরা। কিছুদিন হলো ময়লার ভাগাড় করেছে কাটাখালী পৌরসভা। প্রতিদিন দুই থেকে তিন ট্রাক করে ময়লা ফেলা হয় এখানে। গত বর্ষায় ভাগাড়ের দুর্গন্ধময় আবর্জনা বৃষ্টির পানিতে ভেসে আশেপাশের জমি ও রাস্তায় জমা হয়। ভাগাড়ের পাশে বাড়ি হওয়ায় সেই পানি আমাদের বাড়িতেও আসে। দুর্গন্ধে ঘরের দরজা-জানালা লাগিয়ে খেতে বসতে হয়। অনেক সময় তাতেও কাজ হয় না। গন্ধের কারণে বমি হয়ে যায়।’

পথচারী রবিন জানায়, ‘ঘনবসতি এলাকায় এই ময়লার ভাগাড় করা হয়েছে। এতে করে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। গন্ধের কারণে অনেকেই এই পথে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে আসলে নাকে-মুখে কাপড় দিয়ে যেতে হয়।’

এবিষয়ে কাটাখালী পৌরসভার মেয়র (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আনোয়ার সাদ্দাদ জানান, ‘ওই জমিটা ভাড়া নিয়ে ভাগাড় করা হয়েছে। আমাদের পৌরসভায় অতো টাকা নেই যে অন্য জায়গায় ভাগাড় বানাবো।’

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর