এক ডজন বিধায়ক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি করছে। পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল থেকে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ হতে যাচ্ছে দলটি। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে চমক দেখিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি থেকে শুরু করে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত।

এবার মেঘালয়ে কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল। ওই রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা অন্তত ১২ জন বিধায়ককে নিয়ে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। এর ফলে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হবে ৬। সেই হিসেবে মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে পারে তৃণমূল।

২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুকুল। বর্তমানে তিনি ওই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল দল ছাড়লে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার পি এ সাংমা এনসিপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সে বছর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন তিনি। প্রয়াত পূর্ণের ছেলে কনরাড বর্তমানে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং এনপিপি দলের প্রধান।

কিন্তু মুকুল হঠাৎ কেন কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস দেড়েক আগে তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত লোকসভার সংসদ সদস্য ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। তার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ শুরু মুকুলের। এত দিনে তা পরিণতি পেল।

 

সুত্রঃ যুগান্তর