পদত্যাগ সহকারী প্রক্টর তরিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার কারণে ২০ জন ছাত্র আহত হয়েছেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা পোষণ করে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে বৃহ্স্পতিবার সকালে পদত্যাগের খবর আসে সহকারী প্রক্টর ড. মো. নাজমুল হক শাহিনের। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দীন আহমেদ জানান, আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে ড. নাজমুল তার কাছে পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।
সহকারী প্রক্টর ড. নাজমুলের পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাকে রিসিভ কপি দেয়া হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে অন্যায়ভাবে সাময়িক বহিষ্কার করার পর সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পর ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভিসি প্রফেসর খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করছে লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন। তাদের একদফা এক দাবি ভিসি নাসিরের পদত্যাগ।
এ আন্দোলন ঠেকাতে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামলে একদল বহিরাগত হামলা চালায় শিক্ষার্থীদের ওপর। এ হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এ হামলার প্রতিবাদে ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবীর সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছিলেন- ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতি প্রতিবাদ জানিয়ে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর এ নিয়ে তিনজন শিক্ষক সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রক্টর দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
তিন সহকারী প্রক্টর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করলেও গদি ছাড়ছেন না ভিসি নাসির। তিনি ভিসি পদে থাকতে নানা দেন দরবার করছেন।