একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হতে চায় রাজশাহীর তরুণরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন শুধুমাত্র ভাষার আন্দোলন নয়, এটি স্বাধিকার আন্দোলনের ভিত্তি। এ আন্দোলনের ভিত্তিতেই পরবর্তী ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত রচিত হয়েছিল। পাকিস্তানিদের চাপিয়ে দেয়া উর্দূকে মেনে নেয়নি বাঙালিরা। বায়ান্নোর একুশে ফেব্রুয়ারিতে তাদের জারিকৃত ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে নামে বাংলার দামাল ছেলেরা। সেদিন ঢাকার রাজপথে প্রাণ দিয়েছিল সালাম, আ. জব্বার, শফিক, রফিকসহ অন্যরা।

এটাই আইন ভঙ্গের চেতনা। একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হতে চায় রাজশাহীর শিশু, তরুণ ও যুবকরা। তারা বলছেন, রাজধানীর ঢাকার ন্যায় সারা দেশে ভাষার দাবিতে যে আন্দোলন বেগবান হয়েছিল, তার অন্যতম ছিল রাজশাহী। রাজশাহীতেই প্রথম ভাষা শহিদদের স্মরণে গড়ে উঠে শহীদ মিনার।

রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সানোয়ার হোসেন বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ মানে নির্ভয়ে পথচলা। অন্যায়কে মাড়িয়ে যাওয়া। একুশের এ শিক্ষাই আমাকে উজ্জীবিত করে।

‘আইন ভঙ্গ করা’কে একুশের প্রথম শিক্ষা হিসেবে ধারণ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, একুশের প্রথম ও প্রধান শিক্ষাই হচ্ছে আইন ভঙ্গ করা। যেটা বায়ান্নোর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঘটেছিল।

‘একুশকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা’ বলে মনে করেন রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকার শিক্ষার্থী আয়াতুল্লাহ সিদ্দিকী।  তিনি বলেন, একুশতো তা-ই; যা বায়ান্নোর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাঙলার দামাল ছেলেরা করেছিল। কারো চাপিয়ে দেয়া অন্যায় ভাষার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে প্রাণ দিয়েছিল তারা।

রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর মনে করেন, একুশই প্রথম শোষণ বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে শেখায়। এটাই আমাকে দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এটাই আমাকে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রেরণা যোগায়। এটাকে আমি আজীবন ধারণ করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, রাজধানীতে ভাষা শহিদদের স্মরণে রাজশাহীতেই প্রথম শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। এটা গৌরবের বিষয়।

‘একুশ মানে আবেগ, ভালোবাসা’ বলে মনে করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থী জুয়েল রানা। তিনি বলেন, একুশ হচ্ছে আবেগ; যে আবেগকে কাজে লাগিয়ে আমার জীবনকে কাজে লাগাতে চাই। আর এটা আমার কাছে ভালোবাসা।

স/শা