একদিন আমরা বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারবো:প্রধানমন্ত্রী

একদিন বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান, পরিবহন প্লেন ও হেলিকপ্টার তৈরি করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিমান বাহিনী আয়োজিত শীতকালীন ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২০’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। যশোর বিমান বাহিনী একাডেমিতে এ রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিমান বাহিনীর সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি আমরা চালু করেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। যেটা লালমনিরহাটে আমরা স্থাপন করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লেন চলাচল, প্লেন নির্মাণ ও মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চা হবে।

‘যার মাধ্যমে আমি আশা করি হয়তো একদিন আমরা এই বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান, পরিবহন প্লেন ও হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া মহাকাশে বিজ্ঞানচর্চা করা, হয়তো একদিন আমরা মহাকাশে পৌঁছেও যেতে পারি। সেই প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অংশ নেই। সেখানে বিভিন্ন দেশেরও সদস্যরা আসেন, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী সবাই তাদের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। কোনোদিক থেকে বাংলাদেশ যেন কোনো কিছুতেই পিছিয়ে না থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের যা যা করা দরকার- আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা আমরা সেটা আমরা করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীকে উন্নত ও আধুনিকায়নে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহন প্লেন কেনার চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে, যার তিনটি প্লেন ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে।

এছাড়াও শিগগিরই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম, মোবাইল গ্যাপ ফিলার রাডার এবং সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স রাডার যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈমানিকদের উন্নততর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আরও ৭টি অত্যাধুনিক কে-৮ডব্লিউ জেট ট্রেইনার প্লেন সংযোজন করা হয়েছে এবং অচিরেই যুক্ত হতে যাচ্ছে পিটি-৬ সিমুলেটর।

আজকের নবীনরাই ২০৪১ এর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। ২১০০ সাল পর্যন্ত আমরা পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি, ডেল্টা প্ল্যান। কাজেই ৪১-এ যারা দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্ণধর, আজকের নবীন কর্মকর্তারা তোমরাই হবে সেই কর্ণধর, তোমরাই আমার ২০৪১ এর সৈনিক।

এ সময় হিমছড়িতে আটকে পড়া কয়েকজন ছাত্রকে উদ্ধার করায় বিমান বাহিনীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া করোনা মহামারি, ঘূর্ণিঝড় আম্পানসহ বিভিন্ন দুর্যোগে বিমান বাহিনীর অবদানের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।

সূত্র: কালের কন্ঠ