একটু অপেক্ষা আর সহে না!

শাহিনুল ইসলাম আশিক: সকাল প্রায় সাড়ে ১০টা। নগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে কমিউটার ট্রেন। রেলগেটের গেটম্যান গেটব্যারিয়র ফেলেছেন দুই পাশেই। এতে গাড়িগুলো থেমে যায়। কিন্তু বেশ কিছু পথচারী, মোটরসাইকেল, রিক্সা ও সাইকেল চালক ঝুঁকির মধ্যেই গেট পার হতে থাকেন।

গেটম্যানের প্রায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আবদুর রহমান (৫৫) নামের এক ব্যক্তি বলে ফেললেন,‘আমাদের আইন মানার প্রবণতা অনেক কম। তাদের কাছে জীবনের চেয়ে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। তাই তারা তিন-চার মিনিট সময় দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। মানুষ ঘণ্টার পরে ঘণ্টা অযথা কাটায়। তিন-চার মিনিট থামতে দোষ কোথায় ? ট্রেন তো আর আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে থাকবে না।’

গোরহাঙ্গা রেলগেটের গেটম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গেট ফেলে দিই। তার পরেও মানুষ এপাশ-ওপাশ দিয়ে চলে ক্রস করে। এর ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় আমাদের ওপরে পড়ে। ট্রেন আসার অনেক আগে থেকেই সিগনাল বাঁজে। বাঁশিও দেয়া হয়। মানুষ তোয়াক্কাই করে না। অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশ এসে যানবাহনগুলো সরিয়ে দেন।

গোরহাঙ্গা রেলগেটের পাশে বট গাছের নিচে বসে থাকা নাজমুল ইসলাম নামের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ডাউন ফেরার পরেও এক ব্যক্তি ছোট মেয়েকে নিয়ে রংসাইড দিয়ে ঢুকে লাইনের উপর দিয়ে চলে গেলেন। কোনো তোয়াক্কা ছাড়ায়। এখানে দুঘর্টনা এড়াতে রেলওয়ে একজন কর্মী দিয়েছে। সেই কর্মী ঠিক মতো তার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষের কাছে জীবনের চেয়ে সময়ের মূল্য কি বেশি ? যদি হয়ে থাকে তাহলে মানুষের জীবনের ঝুঁকি নেয়া ঠিক আছে।

এছাড়া নগরীর রেলওয়ের বিভিন্ন গেটগুলোতে লক্ষ করে দেখা গেছে, গেটম্যানরা ডাউন ফেলে দিলেও অনেক মানুষ পারাপারের জন্য তারাহুড়ো করে। এতে করে ঘটতে পারে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তাই একটু দেরি হলেও সাবধানতা অবলম্বন করাটা জরুরি।

 

স/আ