এই সরকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর থেকেও খারাপ: মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, এই সরকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর থেকেও খারাপ। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে সর্বদা কাজ করে চলছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা যুক্ত হলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। কারন আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের উপর ভর করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাদের জনগণ ভোট দেয়নি। ভোট চুরি করে তারা সংসদে গেছেন।

আজ বুধবার নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে আয়োজিত মহানগর বিএনপি প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকার উন্নয়নের নামে দেশকে একট অকার্যকর এবং তলাবহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশে নতুন করে কোন কলকারখানা তৈরী হয়নি। সরকারী চাকুরী দেওয়ার নামে প্রার্থীদের নিকট থেকে সরকারে এমপি, মন্ত্রী ও নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। দেশে এখন সাড়ে ৪লক্ষ যুবক যুবতী বেকার। তারা কর্ম না পেয়ে নেশা ও সন্ত্রাসের দিকে ঝুকে পড়ছে। ১৯০ জনের নিকট দেশ এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে। আর এই বিলিয়ন টাকা মালিক ১৯০ জন নিকট বর্তমান সরকার অসহায় পড়েছে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ, যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহিদুন্নাহার কাজী হেনা।

আরো উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, রুয়েটের শিক্ষক আকতার হোসেন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, সাবেক কাউন্সিলর টুটুল ও শ্রমিক দল সভাপতি ইশরুদ্দিন ইশা।

এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু, জেলা যুব দলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক রওশন আরা পপি, সামসুন্নাহার, নুরুন্নাহার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ইলিয়াস বিন কাশেম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিনসহ মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ চলতি মাসের ২৯ তারিখ বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সরকারী বাহিনী যতই বাধা প্রদান করুক না কেন কোন বাধাই তারা মানবে বলে অঙ্গিকার করেন নেতৃবৃন্দ।