এই গরমে বাতাসের সমবণ্টন

সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাদিন কত কিছুই ভাইরাল হয়। কতকিছুই ট্রোলের মধ্যে পরে যায়, নেটিজেনরা মেতে থাকেন এইসবের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে।  আবার কখনো প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠেন। হ্য্যাঁ, সোশ্যাল মিডিয়া যে এই প্রতিবাদকে একেবারে ফেলনা করে দেয় তা কিন্তু নয়। প্রতিবাদ অধিকাংশ সময় বৃথা যায় না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় উপমহাদেশে যেসব বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা হয় সেসব অনেকটাই হাসির খোরাক জোগায়। সাম্প্রতিক সময়ের ভাইরাল নিয়ে কথা বলতে গেলে আসলে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে। এখন প্রায় মধ্য ফাল্গুন। বাতাসে মাঝে মধ্যে ছুটে আসে আগুনের হলকা। মানুষ কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, শরীর চায় বিশ্রাম। ভাইরাল হয়েছে গরমের সময় একটি ঘুমানোর ছবি।

একটা ফ্যান, হয়তো বাতাস ঠিকমতো ছড়াচ্ছে না। যার কারণে একটা প্যান্ট ব্যবহার করে সুন্দরভাবে বাতাস দুই জনের শরীর সমবণ্টন করা হচ্ছে। ছবিটা বেশ মজার, বেশ বুদ্ধিদীপ্ত কাজ বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে একটি জিনিস এই ছবিটা যতটা মজার মনে হচ্ছে তত মজার দেখছেন না আবার অনেকেই।

একজন লিখেছেন, ‘মজা পাওয়ার সাথে সাথে ওদের সংগ্রামটাও চোখে ভাসছে আমার। আপনাদের কি ভাসছে না? এই ছবিটার ক্যাপশন অন্য রকমও হতে পারতো। অনেকে বলে উঠবে ভাই সার্কাজম বুঝেন না। No, Never This Isn’t Sarcasm.
মজা পাওয়ার সাথে সাথে ওদের কষ্টটাও ফিল করিয়েন আশা করি লাভ না হলেও ক্ষতি হবে না।’

অবশ্য এই চিত্রর নেপথ্য রূপ আসলেই সংগ্রামের। মেস জীবনের এক সুক্ষ্রূপ এই ছবিতে উঠে এসেছে। উঠে এসেছে মানুষের একটা অন্তরালে থাকা জীবনের।

অনেকেই মজা করলেও এই ছবি আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন একজন নেটিজেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা বাড়ি থেকে বাইরে পা ফেলে ছাত্রজীবন কাটান তারা জানেন এই জীবনের মর্ম। কত ত্যাগ থাকে। এক টুকরো মাংস থাকে দুপুরের বা খাবারের রাতের খাবারে। মনে হবে ব্লেড দিয়ে সেই মাংস কাটা হয়েছে কেননা এতো ছোট মাংস দা দেইয়ে কাটা সম্ভব নয়।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ