এইচএসসির খাতা উদ্ধার: দুই কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রকিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল থেকে এইচএসসির খাতা উদ্ধারেরর ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের গণরুম  থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ১০০টি খাতা (উত্তর পত্র) উদ্ধারেরর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার দুই আসামির মধ্যে একজন হলেন, নিউ গর্ভমেন্ট ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। অপর আসামি হলেন, শাহমখদুম কলেজের  ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মাসুদুল হাসান।

এর আগে ২৩ মে রাবির হলের ভিতরের গণরুম থেকে ওই খাতাগুলো সোমবার বিকেল ৬টার দিকে উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের ওই খাতাগুলো রাজশাহী নিউ গর্ভমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে দেওয়াকে মূল্যায়ন করতে দেওয়া হয়েছিল।

বোর্ড কর্মকর্তারা উত্তরপত্র উদ্ধারের পর পরীক্ষক রাজশাহী নিউ গর্ভমেন্ট ডিগ্রী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবুল কালামে বাড়ি নগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে অবশিষ্ট আরো দুইশ উত্তরসহ তাকে আটক করে বোর্ডে নিয়ে আসেন। পরে আরেক শিক্ষক শাহমখদুম কলেজের প্রভাষক মাসুদুল হাসানকেও সেখানে হাজির করা হয়।

সেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে পরীক্ষক আবুল কালাম বলেছিলেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, অসুস্থতার কারণে সহযোগিতা নিতেই উত্তরপত্রগুলো শিক্ষক মাসুদুলকে দিয়েছিলেন তিনি। তবে উত্তরপত্রগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হলে কিভাবে গেল তা সদুত্তর দিতে পারেননি মাসুদুল।

রাবির প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘খাতাগুলো রাজশাহী নিউ গর্ভমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে মূল্যায়ন করতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটি না করে শাহমখদুম কলেজের শিক্ষক মাসুদুল হাসানকে নামের দেন। মাসুদুল আবার রাবির এক ছাত্রকে দেন। ওই ছাত্র পরবর্তিতে তার বান্ধবিকে দিয়ে খাতাগুলো মূল্যায়ন করতে দেন।’

প্রক্টর আরো বলেন, ‘প্রেমিকের নিকট থেকে ওই ছাত্রী খাতগুলো নিয়ে মন্নুজান হলেই মূল্যায়ন করছিলেন। তিনি ওই হলেই থাকেন। কিন্তু তিনি কে-তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ ওই কক্ষে ১০০ জন ছাত্রী থাকে। তাদের মধ্যে কেউ একজন খাতাগুলো মূল্যায়ন করার কথা ছিল।

জানতে চাইলে রাজশাহী বোর্ডের কন্ট্রোলার তরুণ কুমার সরকার সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি এখন পুলিশ তদন্ত করবে।

স/আর