নিজস্ব প্রতিবেদক:
এইচএসসি’র পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের এমসিকিউ (নৈবত্তিক) প্রশ্নপত্রের দুটি প্রশ্ন ভুল ধরা পড়েছে ইংলিশ মাধ্যমে। তবে বাংলা মাধ্যমে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ওই দুটি প্রশ্ন আবার সঠিক রয়েছে। ফলে দুটি প্রশ্ন ভুল থাকায় ইংলিশ মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীরা ওই দুটি নম্বর থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ নিয়ে ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কয়েকজন অভিভাবক রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগও করেছেন। শিক্ষা বোর্ড থেকে বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বোর্ড সভা করে বিষয়টি সঠিক হলে শিক্ষার্থীদের অনুকূলেই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে-এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব তরুণ কুমার সরকার সিল্কসিটি নিউজেেক বলেন, ‘কয়েকজন অভিভাবক আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বোর্ড সভা করে অভিযোগটি সঠিক হলে শিক্ষার্থীদের ফেভারেই যাবে এ সিদ্ধান্ত। এটি শিক্ষা বোর্ডের আইনেও সে কথা বলা আছে। কাজেই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিচলিত হওয়ার কিছু নাই।’
জানা গেছে, গত শনিবার রাজশাহীসহ সারাদেশে এইচএসসির পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধিনে অনুষ্ঠিত এমসিসকিউ প্রশ্নপত্রে ইংলিশ মাধ্যমের এক নম্বর প্রশ্নেই থ্রিএক্স এর স্থলে ২এক্স লিখা হয়। আবার ৯ নম্বর প্রশ্নে কোনো সঠিক উত্তরই দেওয়া হয়নি। চারটি উত্তরই ছিল ভুল। ফলে দুটি প্রশ্ন নিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বাংলা মাধ্যমের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন, তাঁদের একই প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে ১৬ এবং ৪ নম্বরে। তবে দুটি ক্ষেত্রেই সঠিক প্রশ্ন এবং উত্তরও দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইংলিশ মাধ্যমেই শিক্ষার্থী সিল্কসিটি নিউজকে অভিযোগ করে বলেন, ‘পরীক্ষার উত্তরপত্র যখন মূল্যায়ন হবে, তখন কম্পিউটারে ইংলিংশ মাধ্যমেই ওই দুটি প্রশ্নের উত্তর ভুল দেখাবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারণ বাংলা মাধ্যমের উত্তরের সঙ্গে কম্পিউটারে সঠিক উত্তরটি দেওয়া থাকবে। এতে করে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের চেয়ে ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা দুটি মার্কের জন্য পিছিয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে যারা উচ্চতর কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের কেউ কেউ হয়তো ওই দুই মার্কের জন্য আবেদন করারই সুযোগ হারাবেন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা।’
ওই শিক্ষার্থীরা বলেন, যেহেতু শিক্ষা বোর্ড নিজেই ভুলটি করেছে। কাজেই ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ওই দুটি প্রশ্নের দুই মার্ক যেন যোগ করে দেওয়া হয়। শিক্ষা বোর্ডের বিধানেও সেটিই আছে।
বোর্ড সচিব তরুন কুমার বলেন, ‘প্রশ্ন করতে গেলে ছোট-খাটো ভুল থাকতেই পারে। এটি মেনে নিতেই হবে। তবে এসব ভুল যেন ভবিষ্যতে না হয়, সেটি নিয়ে আমরা আরো যতœশীল হওয়ার চেষ্টা করবো।
স/শ