ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে রাহুল গান্ধীর আবেগঘন টুইট

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বলিউড সিনেমা হারাল দুই খ্যাতিমান অভিনেতাকে। বুধবার ইরফান খানের পর বৃহস্পতিবার মারা গেলেন আরেক কালজয়ী অভিনেতা ঋষি কাপুর।কিংবদন্তী অভিনেতার মৃত্যু শোকে মুহ্যমান ভারত।

অভিনেতাদের পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদেরাও।ভারতীয় কংগ্রেসের বিদায়ী সভাপতি রাহুল গান্ধী ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে আবেগঘন টুইট করেছেন। বলিউড বাদশাহ অমিতাভ বচ্চন প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ঋষির মৃত্যুর খবর জানান এবং শোক প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ঋষির মৃত্যু হয় বলে জানান তার বড় ভাই অভিনেতা রণধীর কাপুর।শ্বাসকষ্ট জনিত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঋষি কাপুরকে বুধবার ভোরে মুম্বাইয়ের এইচ এন এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আর সুস্থ হয়ে উঠেননি।মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ বলিউড সহ গোটা দেশ। কংগ্রেসের সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী টুইটে শোকপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ইরফান খানের পরেই ঋষি কাপুরের চলে যাওয়া বিরাট ক্ষতির মুখে দাঁড় করাল হিন্দি ছবির দুনিয়াকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ঋষির অনুরাগীরা তার প্রতিভায় বুঁদ হয়েছিলেন। ভারতীয় সিনে দুনিয়া এবং চলচ্চিত্রপ্রেমীরা তাকে স্মরণ করবেন আজীবন। বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত।

গত ফেব্রয়ারিতে দিল্লিতে পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ঋষি। তড়ঘড়ি করে সেই সময় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল রাজধানীর একটি নামী হাসপাতালে। সেই সময় সংক্রমণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

মুম্বাই ফিরে আসার পরে তিনি আবার ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন সেখানকার একটি হাসপাতালে। তবে বেশিদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ঋষি ২ এপ্রিলের পর থেকে টুইটারে নতুন কোনো পোস্ট করেননি। তবে তার একাধিক পোস্ট বিতর্ক ছড়িয়ে ভাইরাল হয়েছে বহুবার। সমাজ-রাজনীতি সব কিছুতেই নিজের খোলামেলা মন্তব্যের জন্য পরিচিত ছিলেন ঋষি।

একটু সুস্থ হওয়ার পরেই ফের কাজের দুনিয়ায় দেখা গেছে ঋষি কাপুরকে। দেখা গেছে নানা অনুষ্ঠানেও। হলিউডি রিমেক দ্য ইন্টার্ন এর শুট শুরুর কথা ছিল তার। এই ছবিতে তার বিপরীতে দেখা যেত বলিউড সেনসেশন দীপিকা পাড়ুকোনকে।

ঋষি কাপুর একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রযোজক এবং পরিচালক যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য সুপরিচিত। ১৯৭০ সালে তার পিতার চলচ্চিত্র মেরা নাম জোকারে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার জিতে নেন।

এরপর ববি চলচ্চিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং ১৯৭৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান।

১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ৯২টি রোমান্টিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যেখানে ৪১টি চলচ্চিত্রে সহ-তারকাদের সমন্বয় ছিল।

 

সুত্রঃ যুগান্তর