ঋণখেলাপিরাও পাচ্ছেন প্রণোদনার ঋণ সুবিধা

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) নীতিমালার শর্ত শিথিল করায় ঋণখেলাপিরা কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত প্রনোদণার অর্থ থেকে ঋণ নেয়ার সুবিধা পাচ্ছেন।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকার ঘোষিত এ প্রণোদনার অর্থ ঋণখেলাপিদের দেওয়া হবে না বলে নির্দেশনা জারি করে।

তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ায় আইসিআরআর কার্যক্রম ব্যাহত ও ঋণ গ্রহীতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায়

ঋণখেলাপিদের প্রণোদনার অর্থ পাওয়ার বিধিনিষেধ শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ এপ্রিল ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে।

এ তহবিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। তবে তাদের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে, বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে।

এরপর প্রণোদনার অর্থ ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নীতিমালায় বলে, যে সব শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধু সে সব প্রতিষ্ঠান এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।

তারা জানায়, খেলাপী ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতারা এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রাপ্য হবে না। এতদ্ব্যতীত কোনো ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কোন ঋণ/বিনিয়োগ মন্দ/ক্ষতিজনক মানে শ্রেণীকৃত হওয়ার পর ইতোপূর্বে তিনবারের অধিক পুনঃতফসিলকৃত হলে এরূপ ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রাপ্য হবে না। সূত্র: দেশ রুপান্তর