উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: বাঘায় ভোট পড়েছে ২৬ শতাংশ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ২৬ শতাংশ। অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে এবার কম ভোট পড়েছে। ১০ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে রাজনৈতিক বড় দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করায় ভোটার উপস্থিত কম বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু।

১০ মার্চ ৫ম উপজেলা পরিষদ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ হাজার ৯৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোকাদ্দেস (টিয়া পাখী)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা সৈনিকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিলটন (চশমা) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৬৯ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক নারী কাউন্সিলর রিজিয়া আজিজ সরকার (ফুটবল)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা মহিলালীগের সভানেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা (কলস) পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৫ ভোট।

আড়ানীর ভ্যান চালক আবদুল আজিজ বলেন, বিরোধী দল ও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী না থাকার কারনে মানুষের ভোট দেয়ার আগ্রহ ছিল না। তাই অনেক মানুষ ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে আসেনি।

একই এলাকার আরেক সবজি ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান বলেন, সরকারি দলের লোকজনই নির্বাচন করছে। অন্য কোন দলের প্রার্থী ছিল না। ফলে আমাদের গরীব মানুষের তেমন প্রয়োজন হবে না ভেবেই নিজের ভোটটাও দেয়া হয়নি। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভালো লাগেনি।

দিঘা কলেজ শিক্ষক আহম্মেদ মিলন বলেন, ভোটে বিরোধী কোন প্রার্থী না থাকা, প্রাচরাণা কম, প্রার্থীদের ভোটারের কাছে না যাওয়ার কারনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।

বাঘা উপজেলা রিটানিং অফিসার ও নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, স্বচ্ছ ও সুষ্ট্ সুন্দর পরিবেশে এবং নিরাপত্তা মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ নির্বাচনে সব মিলিয়ে ২৬ ভাগ ভোট পড়েছে।

দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজশাহীর বাঘা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭২ হাজার ৫৯০ এবং নারী ৭১ হাজার ৯৮৩ জন। কেন্দ্র ৫৯টি, বুথ সংখ্যা ৪২০টি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একক প্রার্থী দিয়েও জামায়াত নেতার কাছে পরাজিত হয় আ.লীগ। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন লাভলুসহ দলের আরেক নেতা প্রয়াত মিজানুর রহমান মিনু।

এর আগে দ্বিতীয় নির্বাচনে বিএনপির বয়েজুল ইসলাম খান ও সর্ব প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আব্দুল আজিজ সরকার নির্বাচিত হন।

স/শা