উন্নয়নশীল দেশ: এই অর্জন কি শুধু সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণে?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এসংক্রান্ত শর্তগুলো পূরণ করায় জাতিসংঘ এই স্বীকৃতি দেয়।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতির জন্যে বাংলাদেশকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্রাথমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আজ শোভাযাত্রার মাধ্যমে তা উদযাপন করেছেন। এবং আগামী সাতদিন ধরে এই উৎসব চলবে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

কিন্তু বাংলাদেশের এই অর্জন কি শুধু সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণে হয়েছে?

রাজধানী ঢাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শোভাযাত্রায় বাদ্য-দলের বাজনা এবং দেশের গান বাজাতে যেমন দেখা যায়, তেমনি তারা ব্যবহার করেছেন রঙ-বেরঙের ব্যানারও।

সরকারের ৬৭টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুপুরে জড়ো হন নগরীর নয়টি পয়েন্টে।

এই পয়েন্টগুলো থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রা নিয়ে তারা যান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তার পিছনে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় অবদান রয়েছে। সেকারণে আনন্দ ভাগাভাগি করতে তারা শোভাযাত্রায় শরিক হয়েছেন।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অর্জনের পেছনে দেশের কৃষকেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।

এর সাথে সামাজিক অন্যান্য খাত এবং বেসরকারি উদ্যোক্তা ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর অবদানও কম নয়। ফলে কারও অবদানকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, “এটি ধারাবাহিক অর্জন। যারা উন্নয়ন কাজ করেছেন বা বিনিয়োগ করেছেন, তারা যেমন আছেন, তেমনি কৃষক বা সাধারণ মানুষ যারা উৎপাদন করেন, তাদের কারণে অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে আমরা ভাল করেছি।”

“শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত এবং ক্ষুদ্র ঋণদাতাদের কারণে মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকও ভাল হয়েছে। উদ্যোক্তারা জাতীয় আয় প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছেন। ফলে সবমিলিয়ে এটি জাতির সবার অর্জন,” বলেন তিনি।

অবশ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনেকে বলেছেন, তাদের সাথে এই শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ হলে এই উদযাপন আরো পূর্ণতা পেত।

ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, সাত দিন ধরে এই উদযাপনের নানা অনুষ্ঠান থাকছে। এসব অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের মানুষের অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। বিবিসি