নাটোর, বড়াইগ্রাম উপজেলা

উত্যক্তকারীর বিশেষ অঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগে আটক এক নারী

বড়াইগ্রাম  প্রতিনিধি:

নাটোরের বড়াইগ্রামে উত্যক্তের জের ধরে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার জলশুকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে  জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বিরাজ উদ্দিনের ছেলে। আটক মুন্নী খাতুন (২৫) পাশের উপলশহর গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী।

থানা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে মুন্নী তার প্রতিবেশী জহুরুল ইসলামকে মোবাইল করে উপজেলার জালশুকা গ্রামে তার বাবার বাড়িতে ডেকে নেন। পরে কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জহুরুলের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় জহুরুল ছুটে গিয়ে জালশুকা বাজারের লোকজনকে জানান। পরে তারা তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় মুন্নীর শ্বাশুড়ি গোলাপজান বেগম জানান, জহুরুল দীর্ঘদিন থেকেই তার পুত্রবধুকে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বাধ্য হয়ে তার ছেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বসবাস করছিলো।

মুন্নী বেগমের মা গুলজান বেওয়া জানান, মাদকাসক্ত জহুরুলের কারণেই জামাই-মেয়ে আমার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে জামাই টাঙ্গাইলে কাজে যায়। সোমবার রাতে সে পুনরায় আমার মেয়ের কাছে আসে। এ সময় তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে মুন্নীকে হত্যা করতে চাইলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জহুরুলের বিশেষ অঙ্গ কেটে যায় বলে তিনি দাবি করেন।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, জহুরুল নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল বলে মুন্নী দাবি করেছে, তদন্তে সঠিক বিষয় বের হয়ে আসবে। জহুরুলের বাবার দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলায় মুন্নীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

জি/আর