উত্ত্যক্তের নালিশ করায় কুলাউড়ায় মাকে লাথি মেরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার জয়পাশা গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মামলা হলেও চার দিনেও অপহৃতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনরা জানায়, কুলাউড়ার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে হিন্দু পরিবারের ওই মেয়েটি। বেশকিছু দিন ধরে রুবেল মিয়া (২৮) নামের প্রতিবেশী এক যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।

মেয়েটির স্বজনরা একাধিকবার রুবেলের পরিবারের সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাননি। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মেয়ের ভাইয়ের সঙ্গে রুবেলের কথাকাটাকাটি হয়। পরে মেয়ের স্বজনরা স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে বিচার চান।

মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রুবেল ও তার ভাই জুয়েলের নেতৃত্বে ৪-৫ জন যুবক দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে মেয়েটির ঘরে ঢোকেন। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরে শুধু মেয়ে ও তার মা ছিলেন।

একপর্যায়ে ওই যুবকরা মেয়েটির মুখে কাপড় গুঁজে জোর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে একটি অটোরিকশায় তুলে চলে যান। এ সময় মা বাধা দিলে তাকে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়।

ওই দিন রাতে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রুবেল, রুবেলের ছোট ভাই জুয়েল মিয়া (২৫), তাদের মা রাবেয়া বেগম (৪২), বোন সীমা বেগম (২৬) ও একই এলাকার বাসিন্দা আছকর আলীকে (৩২) আসামি করে মামলা করেন।

মেয়েটির বাবা সোমবার বলেন, তার ছেলের সঙ্গে রুবেলের ঝগড়ার বিষয়টি সুরাহার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুক্রবার রাত ৯টায় পৌরসভা কার্যালয়ে উভয়পক্ষকে হাজির থাকতে বলেন। এ কারণে ওই দিন রাতে পৌরসভা কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। এরই মধ্যে মেয়েকে অপহরণ করা হয়।

কুলাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরবিন্দ ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য মিত্র বলেন, দ্রুত ওই মেয়েকে উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

কুলাউড়া থানার ওসি শামীম মুসা জানান, অপহরণের মামলা হয়েছে। আমরা ভিকটিমকে উদ্ধারের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।

রুবেল বখাটে প্রকৃতির, তার বিরুদ্ধে চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি। যুগান্তর