ঘরে কিম্বা বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি

উত্তরাঞ্চলে তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গত বছর পহেলা বৈশাখে সামান্য হলেও রাজশাহীতে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলে ছিল। কিন্তু এবার বৈশাখে খাঁ খাঁ করছে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চেলের আবহাওয়া। দিনের তাপমাত্রা প্রতিদিন বাড়তির মুখে। এতে প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে উত্তরাঞ্চল। ঘরে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। গাছের ছাঁয়াতলেও অস্বস্তির বাতাস।

রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে কাঠফাটা রোদে বিপযস্ত হয়ে পড়ছে প্রাণীকুল। একেই তো রমজান মাস, তার উপর রোদ ও প্রচন্ড গরমে মানুষের মাঝে হাঁসফাঁস অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসেও আগুনের ফুলকির মত ঝালা। ফ্যানের বাতাসেও শুকাচ্ছেনা শরীরের ঘাম। দিন কি রাত সব সময় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ।

এদিকে এক দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর তাপমাত্রা বেড়েছে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘর ছুঁইছুঁই করলেও বৃহস্পতিবার রেকর্ড ভেঙ্গে যায় আবহাওয়ার। গত দুদিন থেকে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামছেই না।এতে প্রখর রোদ ও তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল।

আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী অঞ্চলে  বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান,  টানা এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। গত দুদিন থেকে তাপমাত্রা উঠে গেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। রাজশাহী ও পাবনার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি ছাড়া তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান।

এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ ও রোজাদাররা। শ্রমিন শ্রেণির মানুষ প্রখর রোদ ও প্রচন্ড গরমের কারণে কাজে বের হতে পারছেন না। নগরীতে বেলা ১১টার পর থেকে কমতে শুরু করছে যানবাহন। রাস্তাঘাটেও মানুষের আনাগোনা একেবারে কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিশেষ করে নগরীর অটোরিকশা চালকরা পড়েছেন বেকায়দায়। সামনে ঈদ পরিবারের জন্য কেনাকাটা, ঈদের বাজার করতে হবে। সবমিলিয়ে রিকশা চালকরা সকালে বের হলে দুপুর হওয়ার আগেই তাদের ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে। কারণ রোদের মধ্যে যেমন লোকজন  পাচ্ছেন না তারা তেমনি ভাড়াও কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।

যদিও রাজশাহীতে দুই শিফটে লা-সবুজ গাড়ি চলে। তাই উপায় না পেয়ে রোদের মধ্যেই অটোরিকশা চালাচ্ছেন অনেক চালকরা। পাকা সড়ক আগুনের ঝালার মত বাতাসে গরম তারপরও পরিবারের দিকে তাকিয়ে অনেকেই রোদের মধ্যে রিকশা চালাচ্ছেন।