রাবি ছাত্রলীগ নেতার সহায়তায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন পূরণ হলো দীপকের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শেষ করে কেউ যখন ভর্তির সুযোগ পেলে সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। কিন্তু সুযোগ পেয়েও আনন্দ ম্লান হয়েছিলো লালমনিরহাটের মেধাবী শিক্ষার্থী দীপকের। উল্টো ভর্তি নিয়ে রীতিমতো দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যায় সে। অসহায় পরিবারে বেড়ে ওঠা দীপকের দুঃশ্চিন্তাকে মুছে দিয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।

জানা যায়, বুুধবার দীপক রাবিতে এসে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে গোলাম কিবরিয়া প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে তার ভর্তির ব্যবস্থা করেন। দীপক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হয়।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষায় দীপক রাবির কলা অনুষদের ভর্তি পরিক্ষায় ২৮৮ তম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৩০১ তম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ৫৮০ তম মেধাস্থান অর্জন করে। কিন্তু উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা অর্জনের পরও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছিলেন না দীপক। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি গোলাম কিবরিয়ার নজরে আসে। পরে তিনি দীপকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ভর্তিতে সকল প্রকার সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে দীপক সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘টাকা যোগাড় করতে না পারায় ভর্তি নিয়ে খুবই দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে কিবরিয়া ভাই আমার ভর্তির সকল ব্যবস্থা করে দেন।’

জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি মানবিক। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে দীপক ভর্তি হতে পারছে না জানার পর আমি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে আমার সঙ্গে দেখা করলে আমি ওর ভর্তির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করি।’ এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকা-খাওয়া এবং পরবর্তীতে যেকোন সমস্যায় তাকে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

দীপকের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব-নওদাবাস গ্রামে। তিনবছর আগে বাবা দোলচাঁদ চন্দ্র মারা যান। সংসারের হাল ধরতে বড়ভাই সুকুমারের সঙ্গে দিনমজুরের কাজ শুরু করে। শত অভাবের মধ্যেও পড়ালেখা করে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে।

স/অ