উইঘুর মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে যা বললেন গ্রিজমান

সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় উইঘুরদের প্রতি চীন সরকারের দমনপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।

দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশে চীন সরকার উইঘুর মুসলমানদের জোর করে শূকরের মাংস খাওয়াচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি।

এমন সব অভিযোগের মধ্যে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলার আঁতোয়া গ্রিজম্যান।

শুধু তাই নয়; উইঘুরদের দমনপীড়নে সহযোগিতার অভিযোগ এনে চীনের তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন ২৯ বছর বয়সী এ তারকা।

বৃহস্পতিবার হুয়াওয়ের সঙ্গে করা স্পনসরশিপ চুক্তি বাতিল করেছেন গ্রিজম্যান।

নিজের ইনস্টাগ্রামে বার্সেলোনার এ ফরোয়ার্ড লেখেন– ‘মুখ দেখেই উইঘুরদের চেনা যায় চীন সরকারকে এমন সফটওয়্যার তৈরি করে দিচ্ছে হুয়াওয়ে। সফটওয়্যারটির নাম উইঘুর অ্যালার্ট রাখা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে হুয়াওয়ের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছি।’

গ্রিজমান আরও লিখেছেন– ‘আমি চাই হুয়াওয়ে তাদের ওপর আনা এই অভিযোগ খণ্ডন করুক। শুধু তাই নয়; এই গণদমননীতির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ুক। তারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে মানবতা ও নারী অধিকারের উন্নতিতে সাহায্য করুক।’

গ্রিজম্যানের এমন পোস্ট এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত এক বিষয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন গ্রিজম্যান। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনেও অংশ নিয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে গ্রিজম্যানের এমন গুরুতর অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ।

হুয়াওয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, উইঘুর প্রশ্নে অভিযোগটি সম্পূর্ণ ‘অগ্রহণযোগ্য’। প্রতিষ্ঠানের নীতিতে কোনো জাতির প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব পোষণ করার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইপিভিএমের এক জার্নালে প্রকাশ হয়, উইঘুরদের মুখ দেখে চিনতে একটি সফটওয়্যার তৈরির কাজে চীন সরকারকে সাহায্য করছে হুয়াওয়ে। এই সফটওয়্যারে সহায়তায় উইঘুরদের সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে চীনের পুলিশ বিভাগ এবং উইঘুরদের দমনপীড়নে আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে তারা।

আইপিভিএমের সেই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার হুয়াওয়ের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি বাতিল করেন ফরাসি তারকা আঁতোয়া গ্রিজম্যান।

 

সূত্রঃ যুগান্তর