ঈশ্বরদীতে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঘড়ির কাটায় বাজে সকাল ১১টা। বাবার কোলে চার বছরের শিশু তামিম! কিন্তু সে জানে না ভুল চিকিৎসার কারণে তার মা তানিয়া খাতুন(২৫) তাকে ছেড়ে পৃথিবী থেকে চলে গেছে।
বাবা জহিরের কোলে বসে সে শুধুই আশপাশের মানুষজনের দিকে তাকিয়ে দেখছে। আজ বুধবার সকালে ঈশ্বরদী শহরের দরিনারিচা মহল্লায় এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত তানিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার পৌর কলেজ পাড়া এলাকার পৌর কর্মচারী জহির উদ্দিন এর মেয়ে।

জানা গেছে, নিহতের স্বামী জহির স্ত্রী তানিয়া খাতুন(২৫), কন্যা মেধা (১২) ও ছেলে তামিম (৪) কে নিয়ে ঈশ্বরদী শহরের দরিনারিচা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।

প্রতিবেশী সাজেদুর রহমান লালন(২৬) বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে তানিয়ার স্বাসকষ্ট, বুক ও পেটে ব্যথা অনুভূত হলে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাকে প্রথমে স্যালাইন এবং পরে বুকে ব্যথার কারণে ইনজেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু ভোর সাড়ে পাঁচটায় তানিয়ার মৃত্যু হয়। তার স্বামী পাশে থেকেও মনে করেছিলেন তানিয়া ঘুমিয়ে আছে। পরে তিনি সকালে শিশু তামিমকে হাসপাতালের পাশে নাস্তা করাতে নিয়ে যান।
ফিরে এসে তারা তানিয়াকে আর জীবিত দেখতে পায়নি।

এদিকে তানিয়ার স্বামী জহির ও স্থানীয় এলাকাবাসী মনে করেন, রাতে ডাক্তারদের দায়িত্ব পালন না করে চিকিৎসার ভার নার্সদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার করণে এভাবে অনেক রোগী মারা যায়। তানিয়ার স্বামী জহিরের ধারণা, ভুল চিকিৎসায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ শামিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে আসার কারণে রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে রাতে তাকে বুকে ব্যথার জন্য দায়িত্বরত চিকিৎসক কর্তৃক একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।