নিহত সজিব লক্ষ্মীকুণ্ডার কামালপুর গ্রামের আলহাজ প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সজিব প্রতিদিন বাবার খামারের গরু নিয়ে কামালপুরের প্রত্যন্ত চরে পতিত জমিতে ঘাস খাওয়াতে যান। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে খামারের ৪১টি গরু নিয়ে কামালপুরের চরের উদ্দেশে বের হয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফিরে আসার সময় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাত শুরু হলে ১৪টি গরুসহ ঘটনাস্থলেই সজিব মারা যান। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ১৪টি গরু মারা যাওয়ায় ১০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহত সজিবের বাবা আলহাজ প্রামাণিক জানান, মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে যখন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয় তখন আমি ফোনে ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসতে বলি। বাড়ি ফেরার পথে আমার ছেলের জীবন চলে গেল। কোনোভাবেই বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। ছেলেই আমার সংসারের হাল ধরেছিল।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে ১৪টি গরুসহ এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাত থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে প্রথমে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না।