ঈদ যাত্রায় সড়কের চেয়ে রেলপথ পছন্দ যাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ঈদ আসলে শুরু হয় মহাসড়ক সংস্কারের কাজ। আর এর ফলে যাত্রীরা পড়ে চরম দুর্ভোগে। এছাড় ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। তবে ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে সমস্যা হলে বাসের চেয়ে ট্রেনের যাত্রা অনেকটাই ভালো বলে যানাচ্ছে যা্ত্রীরা।

যাত্রীরা বলছেন, রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত তেমন যানজটের কবলে পড়তে হয় না। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে ও পরে টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেনের কাজ চলমান থাকায় এবং ঈদের সময় লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি নামানোয় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এতে অনেক সময় সড়কপথে রাজশাহী থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে রাজশাহী যাতায়াতে দ্বিগুণ-তিনগুণ সময় লেগে যায়।

রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়মিত যাতায়াত করেন একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ যানজটের কারণে বসে থাকতে হয়। ট্রেনের টিকিট না পেয়ে আমি বিমানের টিকিট সংগ্রহ করার চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সময় বিমানের টিকিটও পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হয়। তখন বুঝতে পারি রাজশাহী-ঢাকা যাত্রাপথ কত দূর ও কষ্টকর।’

রাজশাহী থেকে ঢাকার পথে নিয়মিত যাতায়াত করে ন্যাশনাল ট্রাভেলস, দেশ ট্রাভেলস, হানিফ
এন্টারপ্রাইজ, গ্রামীণ ট্রাভেলস, একতা এন্টারপ্রাইজ, আকিব, শ্যামলী, তুহিন এলিটসহ বেশ কিছু চেয়ার কোচ।

সড়কের পরিস্থিতি জানার জন্য সম্প্রতি ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টারের টিকিট মাস্টার মাসুদ রানার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গত সপ্তাহ থেকে শিডিউলের কোনও বিপর্যয় ঘটেনি। তাদের কাউন্টার থেকে ঠিক সময়ে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। আর ঢাকা থেকেও সঠিক সময়ে বাস আসছে। তবে সামনে ঈদের সময় সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাসচালক হায়দার আলী জানান, মাসখানেক আগে সিরাজগঞ্জ পার হলেই যানজটে আটকে থাকতাম। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত আগের মতো যানজট নেই। যানজটে পড়লে তখন করার কিছু থাকে না। আবার অনেক সময় বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাত্রীদের পৌঁছানোর চেষ্টাও করি। তবে মহাসড়কের বাইরে গেলে রাতের সময় ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ভয় থেকে যায়। চার লেনের রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হলে যানজট অনেকটা কমে আসবে।

টিকিট কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রী সুমাইয়া পারভীন বলেন, ‘গত সপ্তাহে একবার ঢাকায় গিয়েছিলাম। সিরাজগঞ্জ পার হয়ে টাঙ্গাইলের মাঝপথে প্রায় একঘণ্টা জ্যামে পড়েছিলাম। হঠাৎ করে আবারও ঢাকা যাওয়ার প্রয়োজন পড়েছে। ট্রেনের টিকিট না পেয়ে বাসেই যাচ্ছি।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট গোলাম মোস্তফা জানান, ঈদের তিনদিন আগে থেকে ‘ঈদ স্পেশাল’ ১৬ বগি নিয়ে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলবে। ট্রেনটি সাত দিন চলবে।

স/আ