ই-পেমেন্টে তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে ভ্যাট

ভ্যাটের টাকা অনলাইন বা ই-পেমেন্টের মাধ্যমে জমা নেয়া হবে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট। এ লক্ষ্যে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে অনলাইনে ভ্যাটের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ই-পেমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করবেন। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনবিআর সূত্র জানায়, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে ভ্যাট নিবন্ধন ও রিটার্ন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভ্যাটের আওতায় নিবন্ধিত ব্যক্তি নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কসহ যে কোনো প্রদেয় কর সহজে, ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এবং কম সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে পারবেন।

এর আগে গত সোমবার এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম (আইভাস) থেকে পাঠানো কর পরিশোধ সংক্রান্ত ইলেট্রনিক নোটিফিকেশনকে ট্রেজারি চালানের বিকল্প হিসেবে বিবেচনার বিষয়ে এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক আইন ও বিধি) কাজী রেজাউল হাসানের সই করা এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে এবং ব্যবসা ও করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এনবিআর প্রতিনিয়ত স্বয়ংক্রিয় এবং অনলাইনভিত্তিক কর ব্যবস্থা প্রবর্তনে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় করদাতাদের অনলাইনে কর পরিশোধ করার সুবিধার্থে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প থেকে ইতিমধ্যে ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেমের (আইভাস) মাধ্যমে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার ফলে করদাতাদেরকে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দিতে হবে না। বরং দ্রুততম সময়ের মধ্যে করদাতারা যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে কর পরিশোধ করতে পারবেন। এতে করদাতাদের সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে।’

আদেশে আরও বলা হয়, ‘ই-পেমেন্ট কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আইভাস সিস্টেম থেকে করদাতার অনুকূলে পাঠানো কর পরিশোধ সংক্রান্ত ইলেক্ট্রনিক নোটিফিকেশনে উল্লিখিত চালান নাম্বার, তারিখ, কমিশনারেটের কোড এবং জমা করা অর্থের পরিমাণ হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অনলাইন সিস্টেম থেকে যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে তা ট্রেজারি চালানের বিকল্প হিসেবে গ্রহণের অনুমোদন দেয়া হলো।’