ই-কমার্স বুঝলেও কেনাকাটার পদ্ধতি অজানা ৫৯ শতাংশ মানুষের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে ই-কমার্স প্লাটফর্মের বিষয়টি বোঝেন এমন ব্যক্তির ৫৯ শতাংশই কীভাবে ই-কমার্স সাইটে কেনাকাটা করতে হয় তা জানেন না।

শুধু এই না জানার কারণেই তারা এখানে কেনাকাটা করেন না।

এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় আইসিটি পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লার্নএশিয়ার ‘আফটার অ্যাকসেস’ নামের এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে আসে।

বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ১৮টি এই ‘আফটার অ্যাকসেস’ সমীক্ষা চালিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এই সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরে তারা। এতে  বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার ও প্রাপ্যতা বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান জানানো হয়।

সমীক্ষার ফলাফলে জানানো হয়, ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এক-চতুর্থাংশেরও কম অনলাইনে পন্য কেনাবেচার প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে। যারা এ সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তাদের মধ্যেও এ ধরণের প্ল্যাটফরম ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই কম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দক্ষতার অভাবই এ ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা। পণ্য কেনাবেচার প্ল্যাটফরম সম্পর্কে জানা আছে কিন্তু ব্যবহার করছেন না এমন ব্যক্তিদের ৫৯ শতাংশই কথা- এটির ব্যবহার পদ্ধতি তাদের জানা নেই।

লার্নএশিয়া বলছে, ‘গবেষণায় বাংলাদেশের ৪০টি জেলার ১০০টি ওয়ার্ড এবং গ্রামে দুই হাজার পরিবার ও ব্যক্তির উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। গবেষণা পদ্ধতিটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ প্রতিনিধিত্বমূলক এবং এতে সম্ভাব্য ত্রুটির মাত্রা কমবেশি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

লার্নএশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিলানি গালপায়া জানান, মোবাইল ফোনের ব্যবহার এবং ব্যবহারকারী সম্পর্কে সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের একমাত্র গ্রহণযোগ্য পন্থা হচ্ছে এর ব্যবহারকারী এবং ব্যবহারকারী নন এমন ব্যক্তিদের সাথে সরাসরি কথা বলা। এই গবেষণায় সেই কাজটিই করা হয়েছে।

‘গবেষণায় মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের যে বৈষম্য রয়েছে, সেই চিত্রটি ফুটে উঠেছে,’-বলছিলেন লার্নএশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান।

তিনি বলেন, এই গবেষণায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনার দিকটিও পরিষ্কারভাবে উঠে এসছে।

কানাডার ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (আইডিআরসি), ফোর্ড ফাউন্ডেশন, সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (এসআইডিএ) এবং যুক্তরাজ্য সরকারের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এর অনুদানে এই সমীক্ষা চালিয়েছে লার্নএশিয়া।