ইসিতে স্বশস্ত্র হামলা ভয়ভীতিসহ সাত অভিযোগ আ’লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি ও জামায়াতের স্বশস্ত্র নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, পোস্টার ছেড়া ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিটনের পক্ষে অপ্রচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে আজ রোববার দুপুরে রাজশাহী নির্বাচন কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাতটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বুধপাড়া গত (১৪ জুলাই) রাত্রী ৮ টার দিকে ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে বিএনপি ও জামায়াতের কিছু স্বশস্ত্র নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রচারণা কালে ঐ এলাকার সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এসময় ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য বলে। ধানের শীষে ভোট না দিলে ঐ এলাকার সাধারণ ভোটারদের পরবর্তী সময়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং বলে এটা আমাদের ঘাটি, এখানে বসবাস করতে ধানের শীষেই ভোট দিতে হবে।

তা না হলে তোমাদের শান্তিতে থাকতে দিব না। বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের হুমকির কারনে ঐ এলাকার সাধারণ ভোটাররা বর্তমানে চরম আতঙ্কে রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি প্রদর্শন করে নির্বাচনের সকলের সমান সুযোগ নষ্ট করছে এবং নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করছে। এমতাবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

রাসিকের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ভাড়ালিপাড়া এলাকায় গত (১৪ জুলাই) বিকাল ৬ টার দিকে ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে বিএনপি ও জামায়াতের কিছু মহিলা কর্মী প্রচারণা করে। প্রচারণা কালে তারা সাধারণ ভোটারদের বলে নৌকায় ভোট দিয়ে লিটনকে নির্বাচিত হয়ে তোমাদের এই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে এখানে সিটি কর্পোরেশনের গোডাউন তৈরি করবে এবং তোমাদের বিতাড়িত করবে।

আওয়ামী লীগ ইসলামের শত্রু। তোমরা নৌকায় ভোট দিলে এদেশে গজব হবে। তাই তোমরা ইসলামের শত্রু লিটনকে ভোট দিও না। তোমরা ধানের শীষে ভোট দিলে তোমাদের নগদ অর্থসহ অনেক সহযোগিতা করা হবে। বিএনপি নেতাকর্মীরা উক্ত এলাকায় প্রচারকাজে অংশ নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার প্রচারণা করে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে এবং নগদ অর্থসহ উপঢৌকন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের আচরন বিধি লঙ্ঘন করছে।

অন্যদিকে, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ডাঁশমারি এলাকায় বিএনপি জামায়াতের কিছু নেতাকর্মী ডাঁশমারি এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গত (১৪ জুলাই) সকাল ৬ টার দিকে প্রচারণা চালায়। সেখানে সাধারণ ভোটারদের তারা বলে এই এলাকা বিএনপির জামায়াতের ঘাটি, এখানে বসবাস করতে হলে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। তা না হলে কখন কি হবে কেই বলতে পারবে না। আওয়ামী লীগের কেউ তোমাদের রক্ষা করতে পারবে না তাই ধানের শীষেই ভোট দিতে হবে। তা না হলে ভয়ঙ্কর পরিনতি হবে। যা তোমরা চিন্তাও করতে পারবে না।

বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সাধারণ ভোটাররা বিএনপি ও জামায়াতের হুমকির কারনে চরম আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়টি অবগত করে। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের এহন আচরণে সাধারণ ভোটারদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে

নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড তেরখাদিয়া ডাবতলার এলাকায় ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে বিএনপির ১০-১৫ জন নেতাকর্মী রাত নায় টার দিকে নি¤œ আয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি প্রচারণা করে এবং তাদের ধানের শীষে ভোট দিলে তাদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা করা হবে মর্মে জানায়।

নি¤œ আয়ের মানুষদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ভোটের দুই দিন পূর্বে স্থানীয় বিএনপির সভাপতির সাথে দেখা করে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার ওয়াদা করে অর্থ নেওয়ার পরামর্শ দেয় এবং সেই সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রদপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম কুৎসার রটনা করে এবং বলে এরা ইসলামের শত্রু, এদের ভোট দিলে দেশ ধংস হয়ে যাবে বলে মিথ্যা প্রচার প্রচারণা চালায়।

উক্ত বিষয়ে পরবর্তীতে উক্ত এলাকার সাধারণ লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের অবগত করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এবং নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সুনাম নষ্ট করার জন্য কুৎসা রটনা করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে

নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড বড়কুঠি নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার রাস্তায় আওয়ামী লীগ সমর্থীত মেয়র প্রার্থীর নৌকা প্রতিকের কিছু পোষ্টার গত ১০ জুলাই রাতে দড়ি দিয়ে টাঙ্গানো হয়। পোষ্টারগুলি গত (১৪ জুলাই) গভীর রাতে কে বা কারা ছিড়ে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখে।

সকালে ছেড়া পোষ্টারগুলি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উক্ত বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের জিঙ্গাসা করলে তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গালাগালি করে। পোষ্টার ছিড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা রাতের আধারে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পোষ্টারগুলি ছিড়ে ফেলে এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করছে।

 

স/আ