ইসলামপন্থী দল হলেই মনে করে ধর্মের কথাই শুধু বলবে, অন্য বিষয়েও আমরা বলি’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আজ সারাদেশে মানববন্ধন করবে খেলাফত মজলিস। কিন্তু বাংলাদেশে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ -ধর্মীয় ইস্যুর বাইরে কোনো সামাজিক ইস্যুতে তাদের রাজপথে দেখা যায় না।

কেন তারা এখন সেটির প্রয়োজন বলে মনে করছেন?

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন “এই সময়টা সঠিক সময়, কারণ অতি সম্প্রতি যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেটা নারী নির্যাতনের আদি রূপ ধারণ করেছে, ক্ষমতাসীনদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এমনটা ঘটেছে”।

প্রশ্ন: কিন্তু ইসলামপন্থী দলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ সামাজিক ইস্যুতেতাদের রাজপথে দেখা যায় না?

“না ঠিক নয়। কুমিল্লায় মেয়েটার হত্যার পর আমরা প্রতিবাদ করেছি। মানববন্ধন করেছি”।

প্রশ্ন: সমাবেশ হয়তো আপনারা করছেন? কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডাতে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু কতোটা থাকে?

“থাকবেনা কেন। অবশ্যই থাকে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে কথা বলে আমরাও সেসব বিষয়ে বলি। হতে পারি আমরা কিছু বিষয়ে ফোকাস করি। কিন্তু মিডিয়ার যারা নিউজ কাভার করে তারা ইসলামপন্থী দল হলেই মনে করে ধর্মের কথাই শুধু বলবে। সমাজ আমরা যেহেতু বদলাতে চাই, সমাজের সমস্যা দেশের জন্য বড় সমস্যা। এগুলো সমাধান করতে হবে। বর্তমানে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে”।

প্রশ্ন: কিন্তু একটা অভিযোগ কিছু দলের বিরুদ্ধে ওঠে, নারীদের ইস্যুটা যখন- আসে নারীদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করা হয়, তাদের চলাফেরা নিয়ে মন্তব্য করা হয়। নির্যাতনের ঘটানর ক্ষেত্রে দায়ভার অনেকটা নারীদের ওপর দিয়ে দেয়া হয় আপনার কাছে কি মনে হয় এরকম বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলগুলো করে?

“এগুলো কিন্তু সাইড প্রশ্ন। কেউ এগুলো তুলতে পারে। দলগতভাবে আমরা এগুলো ধরছিনা। যে সমস্যাগুলোর কথা বলছি নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে, অনেক কারণ আছে। নারীদের ওপর এসিড মারা হচ্ছে, ধর্ষণ করা হচ্ছে। সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধ করা হচ্ছে। করছে কারা? ক্ষমতাসীনদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে করা হচ্ছে”।

প্রশ্ন: আপনি ক্ষমতাসীনদের কথা আবার বলছেন। কিন্তু কেন আপনাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ইস্যু নিয়ে কথা না বলার এই অভিযোগটা আসে?

“অভিযোগটা আসে আমরা যে অন্য কথাও বলি এজন্য আসে। সত্য কথা আমরা শুধু নারীদের বিষয়ে কথা বলি না অন্য অনেক বিষয়েও বলি। যেগুলো সেক্যুলাররা বলতে চায় না, তারা মনে করে এগুলো ফোকাসে আসা উচিত না। কিন্তু আমরা এগুলো ফোকাস দেই বলে আমাদের ক্রেডিবিলিটি নষ্ট করার জন্য তারা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে। যারা নির্যাতিত, অসহায় নারী-পুরুষ যেই হোক, এগুলোর সমাধান করতে হবে। সমাজের সমস্যা সমাধানে আমাদের কাজ করতে হবে”।

প্রশ্ন: এই ধরনের সমস্যা সমাধানে ইসলামপন্থী দলগুলো কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?

“কোনো ধার্মিক মানুষ কোনো মহিলার ওপর অত্যাচার চালাতে পারে না। অধার্মিকেরাই, দুশ্চরিত্রবানরাই এ কাজ করে থাকে। মানুষ যদি ধার্মিক হয়- মহিলারা ধার্মিক হলে, পুরুষেরা ধার্মিক হলে, ধর্মের প্রসার ঘটলে সমাজে অত্যাচার-অনাচার কমে যাবে”। সূত্র: বিবিসি বাংলা