ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ‘শান্তির পথে অন্তরায়’ : মাহমুদ আব্বাস

ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ককে ‘ফিলিস্তিনের ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির পথে অন্তরায়’ বলেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।

এছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ সম্পর্ক করা দুই দেশের সমালোচনা করে এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে ন্যায্য সমাধানের পথে বড় বাঁধা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ভার্চুয়াল সাধারণ অধিবেশনে একথা বলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তাছাড়া আগামী বছরের শুরুতে বাস্তবভিত্তিক শান্তি পক্রিয়া আহ্বানের দাবী জানান। আব্বাস বলেন, ‘দখলদারিত্ব বন্ধ করা ছাড়া আমাদের এ অঞ্চলে কোনো প্রকার শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সম্ভবপর নয়।’

আব্বাস আরো বলেন, ‘এ সম্মেলন কর্তৃপক্ষের কর্তব্য, আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে বাস্তব ভিত্তিক শান্তি পক্রিয়া শুরু করা। ফিলিস্তিনের দখলদারিত্বের অবসান, ১৯৬৭ সালের সীমারেখায় পশ্চিম জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনবাসীকে তাঁদের স্বাধীনতা দেওয়া ও শরণার্থী সংকটের সমাধান করার করাই এখন প্রধান দায়িত্ব।’

নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগ থেকে ‘৬৭ সালের যুদ্ধে দখলকৃত পশ্চিম জেরুজালেম, গাজা, পশ্চিম তীরসহ একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের দাবী জানিয়ে আসছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু প্রথম বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিগত এক দশক যাবত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো কার্যকরী শান্তি আলোচনা হয়নি। বরং উভয় পক্ষের মধ্যে প্রবল দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলতে থাকে।

অপরদিকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে দীর্ঘকাল সহায়তাকরী আরব, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তেল সমৃদ্ধ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যের একটি ঐতিহাসিক চুক্তি বলে মনে করা হয়।

আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তির সময় থেকে ফিলিস্তিনের এক তৃতীয়াংশ সংযুক্ত করা পশ্চিম তীরে দখল স্থগিত রাখে ইসরায়েল। তবে আবারও তা শুরু করার পরিকল্পনা আছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে তাৎক্ষণিক হুমকির সম্ভাবনা চিরতরে বন্ধ করে দেয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ