ইসরাইলে সন্ধান মিলল হাজার বছরের পুরনো মসজিদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রায় দুই বছর আগে ২০১৭ সালে ইরাকে পরাজিত হয় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। চলতি বছর সিরিয়ায় নিজেদের নিয়ন্ত্রিত শেষ ভূখণ্ডটি হারায়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছিলেন, রাজত্ব হারালেও তাদের যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। তারা শুধু তাদের স্থান বদলাচ্ছে। সেই সঙ্গে লড়াইয়ের ধরনও। শিগগিরই ফিরে আসতে পারে।

বিশ্লেষকদের সেই আশঙ্কা সত্য করে ইরাকে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে আইএস। পরাজয়ের পর সিরিয়া সীমান্ত দিয়ে দলে দলে ইরাকে ঢুকছে গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা। ইতিমধ্যে দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলজুড়ে চোরাগোপ্তা হামলাও শুরু করেছে তারা। ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত আট মাসে কমপক্ষে এক হাজার আইএস জঙ্গি সীমান্ত পার হয়ে ইরাকে প্রবেশ করেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জঙ্গিদের বেশিরভাগই ইরাকি বংশোদ্ভূত।

গত বছরের মার্চে সিরিয়ায় আইএসের পতনের পর দেশে ফিরতে শুরু করে। সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রাম অঞ্চলে গোপন সুড়ঙ্গ, পাহাড়ি গুহা এবং বন-জঙ্গলপূর্ণ এলাকায় আস্তানা গেড়েছে। সেখানে নিজেরাই বোমা বানাচ্ছে তারা। সাধারণ রাতের আঁধারে বের হয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে স্নাইপার হামলা চালাচ্ছে। কখনও বা রাস্তার পাশে টাইম বোমা পেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এভাবে নিয়ম করে সপ্তাহে একাধিকবার বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে।

আইএসের এসব হামলার বেশিরভাগই বড় বড় শহরগুলোর বাইরে চালানো হচ্ছে। সুবিধাজনক স্থান থেকে কোনো অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করে হঠাৎ ঝাপিয়ে পড়ে। অভিযান শেষ হলেও লুকিয়ে পড়ে।

চলতি মাসের প্রথম দিকে মার্কিন আগ্রাসনে নিহত ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের জন্মস্থান উত্তরাঞ্চলের কিরকুক শহরে এভাবেই অভিযান চালানো হয়। এতে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।

পূর্ব ইরাকের দিয়ালায় পৃথক নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করে হামলা চালায়। সম্প্রতি আধা-সামরিক বাহিনী ও স্থানীয়ভাবে ‘মোখতার’ হিসেবে পরিচিত (সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যদের চিহ্নিত করার কাজে নিয়োজিত) বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে তার কয়েকটি ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ করেছে আইএস।

মোখতারদেরকে নিজেদের বড় শত্রু মনে করছে গোষ্ঠীটি। ভিডিওতে আইএসের এক যোদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, ‘সব মোখতারকে সাবধান করে দিচ্ছি, আইএস তাদের ইচ্ছামতো যেকোনো জায়গায় পৌঁছতে পারে।’