‘ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার পথেই যাচ্ছে ইমরান খানের সরকার’

পাকিস্তান জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, ইমরান খানের সরকার ধীরে ধীরে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার পথেই অগ্রসর হচ্ছে।

এমনকি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর থেকে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করার প্রস্তুতি চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রোববার পেশোয়ারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন। খবর ডন নিউজ উর্দুর।

তিনি বলেন, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা আমরা রাখতে পারিনি। আজ যে ধরনের শাসক আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে ধর্ম ও সভ্যতার বালাই নেই।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী এই রাজনীতিক বলেন, এই মুহূর্তে নিঃস্বার্থভাবে আমাদের লড়াই করে যেতে হবে এবং মনে রাখতে এ দেশকে ষড়যন্ত্রের কবল থেকে বাঁচাতে হলে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের প্রধান আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক এই দলের সুদীর্ঘ ১০০ বছরের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। তিনি বলেন, ইসলাম ও মানবকল্যাণে সদা নিয়োজিত এ কাফেলাটি ১৯১৯ সালে দেশের মুক্তি ও মুসলিম জাতির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেছিল এবং ধীরে ধীরে আমরা দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো ন্যক্কারজনক নির্বাচন পাকিস্তানের ইতিহাসে আর কখনও হয়নি। সেই কারচুপি নির্বাচনের বিরোধিতা জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম যেভাবে করেছিল, অন্য কোনো দল তা পারেনি।

১৯৭৩ সালে সংবিধানে লেখা হয়েছিল- আগামীতে যত আইন প্রণয়ন করা হবে, তার সবই হবে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে। ২০২০ পর্যন্ত একটি আইনও সে মোতাবেক করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন মাওলানা ফজলুর রহমান।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শান্তিচুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, এটা মুসলিম বিশ্ব বা আরব বিশ্বের কোনো সিদ্ধান্ত নয়।

তিনি বলেন, আরব-আমিরাতের এ শান্তিচুক্তি ফিলিস্তিনের সত্তর বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনের সম্পূর্ণ বিরোধী। তিনি বলেন, যেকোনো মুসলিম দেশের জন্যই স্বজাতির স্বার্থ ও তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে মূল্যায়ন করা উচিত।

ডন নিউজ উর্দু অবলম্বনে- মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ