শনিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ইসরাইলকে পরাজিত করার অঙ্গীকার খামেনির

Paris
অক্টোবর ৫, ২০২৪ ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনকে রুখতে মুসলিম বিশ্বে ঐক্যের ডাক দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এক হয়ে শত্র“দের বিরুদ্ধে লড়তেও আহ্বানও জানান তিনি। শুক্রবার তেহরানে ইমাম খোমেনি র্গ্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় এসব কথা বলেন সর্বোচ্চ এ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুপক্ষ মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ ছড়িয়ে দিতে বিভাজন ও ঘৃণার বীজ বপন করার নীতি অবলম্বন করে। একই পক্ষ আবার ফিলিস্তিনি, লেবাননি, মিসরীয় এবং ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেনি ও সিরীয়দের শত্রু। আমাদের শত্রু একই।’ এএফপি, আলজাজিরা।

প্রায় এক বছর ধরে গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকে হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে মঙ্গলবার ইসরাইলে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরাইল যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজে খুতবা দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

খুতবায় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হিজবুল্লাহপ্রধান নাসারুল্লাহর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে তার আদর্শ ও তার দেখানো পথ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। তার শাহাদত এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে। নাসরুল্লাহর জীবনদান বৃথা যাবে না। আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এরপর গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অভিযানকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন খামেনি। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লেবানিজ ও ফিলিস্তিনিরা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়ছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার কোনো আন্তর্জাতিক আইনে নেই। তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে জায়নবাদী ও আমেরিকানরা অনেক স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু আমরা জায়নবাদীদের শিকড় উপড়ে ফেলব। অবশ্য তাদের কোনো শিকড়ই নেই। এরা ভুয়া ও অস্থিতিশীল। শুধু মার্কিন সমর্থন নিয়েই টিকে আছে।’

এ খুতবায় খামেনিকে একনজর দেখতে তেহরানে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। মুসল্লিদের কারও কারও হাতে হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা ছিল। আবার কারও কারও হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। খামেনির আগে ইসরাইলকে মোকাবিলায় মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলোকে তেহরান নিজেদের ‘ভাই’ হিসাবে দেখে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে বৈঠককালে পেজেশকিয়ান এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবসহ ইসলামিক দেশগুলোকে আমাদের ভাই বলে মনে করি। সব মতপার্থক্য একপাশে রেখে আমাদের একে অপরের সঙ্গে অভিন্নতা ও সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন। ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, বিশ্বজুড়ে ইসলাম প্রচারের কারণ ছিল মুসলমানদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব,’ যোগ করেন তিনি।

এছাড়াও, ইরানের প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে গাজা উপত্যকা এবং লেবাননের তিক্ত ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাবলীর কথাও তুলে ধরেন, যা ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে সৃষ্ট মুসলিম বিশ্বের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ সমস্যা।

পেজেশকিয়ান বলেন, যদি আজ ইহুদিবাদী শাসক গাজায় অপরাধ ও গণহত্যা করার সাহস করে থাকে, তবে তা করতে পারছে ইসলামি দেশগুলোর বিভেদ ও উদাসীনতার কারণে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আগ্রাসনের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে আজ তা শুধু গাজা ও লেবাননের বিরুদ্ধে হলেও, আগামীতে হবে অন্যান্য মুসলিম শহর ও দেশের বিরুদ্ধে।’

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক