সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের ফলাফল নির্ধারণ হয় ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে। এর মাধ্যমে যে প্রার্থী বেশি ভোট পেয়ে থাকেন তাকেই দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। সাধারণ ভোটে কোনো প্রার্থী পিছিয়ে থাকলেও ইলেকটোরাল ভোটে জয়ী হলেই তিনি হতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট আসন সংখ্যা ৫৩৮টি। এই নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো-ইলেকটোরাল ভোটে ‘টাই’ হলে কিভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে?
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলেকটোরাল ভোটে যদি কোনো প্রার্থী এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান সেক্ষেত্রে মার্কিন আইন সভার নিম্ন-কক্ষ ‘হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস’ ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
এক্ষেত্রে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শীর্ষ তিন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাছাই করে থাকেন। বাকি দুজন প্রার্থীর ভেতর থেকে একজনকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেয় দেশটির সিনেট। যদিও এরকম ঘটনা মার্কিন ইতিহাসে একবারই ঘটেছে।
১৮২৪ সালে এভাবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেমোর্ক্যাট প্রার্থী জন কুইনসি অ্যাডামস। তবে বর্তমানে অবশ্য রিপাবলিকান ও ডেমোর্ক্যাটিক পার্টি দুটির যে আধিপত্য রয়েছে তাতে ওইরকম ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
ইলেকটোরাল কলেজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় আইনের একটি জটিল ব্যবস্থা। যা দেশটির সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত। ইলেকটোরাল কলেজ হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল যাদের ইলেকটরস বলা হয়। এরা এক কথায় নির্বাচকমণ্ডলী।
কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি স্টেট বা অঙ্গরাজ্যে ইলেকটরসের সংখ্যা নির্ধারিত হয়। যা নির্ধারিত হয় স্টেটে সেনেটরের সংখ্যা (প্রত্যেক স্টেটে দুজন) এবং প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধির (যা জনসংখ্যার অনুপাতে) যোগফল মিলে। প্রতি ৪ বছর পরপর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছাই করেন।
নির্বাচনের পরপরই দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করা হয় না। বিজয়ীদের কিছুদিন সময় দেওয়া হয়। যাকে ‘রূপান্তরকালীন সময়’ বলা হয়ে থাকে। ওই সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করেন এবং পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন।
সূত্র: যুগান্তর