ইলিয়াস কাঞ্চন সম্মানী ব্যক্তি, তাই ছেড়ে দেয়া হয়: বেবিচক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পিস্তল নিয়ে প্রথম ধাপের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

এ ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এর মধ্যেই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও (বেবিচক) এ ঘটনায় তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে গণমাধ্যমে।

বেবিচক মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ঘোষণা ছাড়া বিমানবন্দরে পিস্তল নিয়ে প্রবেশের অপরাধে ইলিয়াস কাঞ্চনকে গ্রেফতার করতে পারত সিভিল এভিয়েশন। কিন্তু তিনি দেশের একজন সম্মানী ব্যক্তি, তাই তাকে পিস্তল বহনের নিয়মগুলো ব্রিফ করে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নভোএয়ারের একটি আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রটি নিয়ে যান নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

এ সময় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের স্ক্যানার মেশিনের নজর এড়িয়ে ৯ এমএম পিস্তল আর ১০ রাউন্ড গুলি ব্যাগসহ বিনা বাধায় স্ক্যানিং মেশিন পার হন তিনি। এরপর নভোএয়ারের বুকিং কাউন্টারে গিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান- তার সঙ্গে নিয়ে আসা পিস্তলও গুলিভর্তি ব্যাগ স্ক্যানারে ধরা পড়েনি।

পিস্তলটি সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে যেতে চান বলে কর্মকর্তাদের জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।

বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে শাহজালাল বিমানবন্দরের মেম্বার সিকিউরিটি শাহ এমদাদুল হক, বিমানবন্দরের পরিচালকসহ (নিরাপত্তা) বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত হন।

প্রথম স্ক্যানিংয়ে ব্যাগে থাকা পিস্তল ধরা না পড়ার বিষয়টির জন্য তাৎক্ষণিক শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।

বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে ‘খেলনা পিস্তল’ নিয়ে উঠে উড়োজাহাজটি ছিনতাইচেষ্টা করেন পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক। পরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন তিনি।