ইলিয়াসের নামে মামলা প্রত্যাহার চান সুবহা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

ডিভোর্স হওয়ায় গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা চালাতে চান না অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহা। আজ রোববার ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এমনই প্রর্থনা করেন সুবহা।

এদিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিনে জবানবন্দিতে সুবহা বলেন, ‘আমি মামলার বাদী। ইলিয়াস আমার সাবেক স্বামী। আমাদের দুইজনের ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমি আর মামলা চালাতে চাই না। মামলা প্রত্যাহার করতে চাই।’

এরপর আদালত বলেন, ‘মামলা প্রত্যাহার করতে হলে তো আসামিকেও লাগবে।’ পরে সুবহা আদালতকে জানান, আগামীকাল সোমবার ইলিয়াস আদালতে আসবেন। এরপর আদালত সোমবারের জন্য রাখেন।’

গত ১৯ জুন একই আদালত ইলিয়াসকে পলাতক দেখিয়ে বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন। এরআগে, গত ২২ মার্চ ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই ট্রাইব্যুনাল। গত ৩ জানুয়ারি রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন সুবহা। মামলাটি তদন্ত করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইলিয়াসকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিএমপির তেজগাঁও নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর মাছুমা আফ্রাদ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে ইলিয়াসের সঙ্গে সুবহার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকার রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হয়নি। এর মধ্যে সুবহা জানতে পারেন, ইলিয়াস আগে একাধিক বিয়ে করেছেন এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মধ্যে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন ইলিয়াস। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে সুবহাকে শারীরিক নির্যাতন করেন ইলিয়াস। পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চান তিনি। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে মারধর এবং মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে জখম করেন। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধের কথা বলে অন্য ওষুধ খাওয়ান। একটু পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান। সুবহার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সূত্র: আমাদের সময়