ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

সিল্কসিটিনিউজ  ডেস্ক:

থাই কিশোরদের উদ্ধারকারী এক ব্রিটিশ ডুবুরি ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।

ডুবুরি ভার্মোন উনসওর্থের অভিযোগ, কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই টুইটারে তাকে শিশু নিগ্রকারী ও ধর্ষক বলেছেন ইলন মাস্ক। থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ জন কিশোরকে উদ্ধার করার পর থেকেই টেসলা সিইও ইলন মাস্ক তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছান।

মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭৫ হাজার ডলার দাবি করেন তিনি। ভবিষ্যতে এরকম ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানোর ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞাও চান তিনি।

ভার্মোন উনসওর্থ বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে ইলন মাস্ক বেছে নিয়েছিলেন টুইটার। সেখানে তার ফলোয়ার সংখ্যা আড়াই কোটি। এছাড়াও, সংবাদ মাধ্যম বাজ ফিডের রিপোর্টারকে পাঠানো এক মেইলে লেখেন, শিশু নিপীড়নকারী উনসওর্থকে বাঁচানোর চেষ্টা করা বন্ধ করুন।

musk-techshohor

এরপরই উনসওর্থ ও মাস্কের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয় টুইটারে। উনসওর্থ মামলা করার হুমকি দেওয়ার পর ইলন মাস্ক টুইটারে লিখেছিলেন, আজব তো, সে এখনো আমার নামে মামলা করেনি!

এবার ক্যালিফোর্নিয়ায় সত্যি সত্যিই মামলা করলেন উনসওর্থ। পরবর্তীতে লন্ডনেও আরেকটি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৩ জুন একটি ফুটবল দলের ১২ কিশোর ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করেন। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি আটকা পড়ে যায়। নয় দিন সেখানে আটকে থাকার পর ২ জুলাই ডুবুরিরা তাদের সন্ধান পান। ডুবুরিদের দলে ছিলেন ৯০ জন। এর মধ্যে বিদেশি ডুবুরি ছিলেন ৫০ জন। এই ডুবুরিদের একজন ছিলেন ভার্মোন উনসওর্থ।

উদ্ধার কাজে সহায়তা করার জন্য সাবমেরিন বানিয়ে হাজির করেছিলেন মার্কিন প্রকৌশলী ইলন মাস্ক। তবে এই উদ্ধার কাজে সাবমেরিনটি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েনি।

বিবিসি অবলম্বনে