ইমরানের কারাদণ্ডের রায়ে গুরুতর ত্রুটি ছিল: সুপ্রিম কোর্ট

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গত ৫ আগস্ট ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি জেলা ও দায়রা আদালত। আর এই কারাদণ্ডের রায়ে ‘গুরুতর ত্রুটি’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। এছাড়া এই রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বুধবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ওইদিন প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘দায়রা আদালত একদিনে রায় দিয়েছে, যেটি সঠিক ছিল না। প্রথম দৃষ্টিতে দায়রা আদালতের রায়ে ত্রুটি ছিল।’

প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল ছাড়াও তিন সদস্যের এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারক জামাল খান মান্দোখালিল এবং বিচারক সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকবী। এই বেঞ্চটি গত ৪ আগস্ট ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিলটি আমলে নিয়েছে।

গত ৪ আগস্ট ইসলামাবাদ হাইকোর্ট আদেশ দেন, তোশাখানা মামলা গ্রহণযোগ্যতার যে রায় দায়রা আদালত দিয়েছে সেটি ‘অবৈধ।’

এছাড়া ইসলামাবাদ হাইকোর্ট নিন্ম আদালতকে নির্দেশ দেন, ইমরান এই মামলা চলমান রাখার বিরুদ্ধে যে আপিল করেছেন সেটির ব্যাপারে যেন শুনানি করা হয়। তবে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের আপিলটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে, পরের দিন ৫ আগস্ট বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারের দায়রা আদালত ইমরানকে তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।

সুপ্রিম কোর্ট বুধবার প্রশ্ন করেছেন, কেন দায়রা আদালত স্বাক্ষীদের জবানবন্দি না নিয়ে এত দ্রুত রায়ে উপনীত হলো। যে স্বাক্ষ্য ইমরান খান আদালতে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নকবী বলেছেন, দায়রা আদালত ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন।

এদিকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলার দণ্ড বাতিলের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল করেছেন ইমরান খান। আজ শুক্রবার এর ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তোশাখানা মামলা করা নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায় আদালতে এ নিয়ে শুনানি হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইমরানের আইনজীবীরা।

এ বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তবে আদালত আবার আগামী সোমবার (২৮ আগস্ট) শুনানির নতুন তারিখ ঠি করেছেন।

এদিকে প্রধান বিচারপতি বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে জানান, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায় দেওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবেন। এরপর প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেবেন।