ইভিএম কেনার উদ্যোগ বন্ধ করার আহ্বান বিএনপির

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য ইভিএম কেনার উদ্যোগ বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তার অভিযোগ, বিশেষজ্ঞদের মতামত অগ্রাহ্য করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে তড়িঘড়ি আরপিও সংশোধনের কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে দেড় লাখ ইভিএম অতি গোপনে সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের অর্থ লুটপাট ও ভোটাধিকার হরণে নির্বাচন কমিশন তৎপরতা চালাচ্ছে। এতে সরকারি আর্থিক শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতিও মানা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২০১০ সালে নির্বাচন কমিশন যেখানে একটি ইভিএম মেশিন ১০ হাজার টাকায় কিনেছিল, সেখানে আজ ২০ গুণ বেশি দামে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকায় কিনতে চাচ্ছে।

প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, কার নির্দেশে কাকে বিজয়ী করতে বিশ্বজুড়ে পরিত্যক্ত ইভিএম ব্যবহারে ইসি ওঠেপড়ে লেগেছে?

জনগণ নির্বাচন কমিশনের এ তৎপরতা প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ য্ন্ত্র কেনার প্রতিটি পয়সা কমিশনের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দায় হিসেবে গণ্য হবে। এ কাজের পুরো দায় নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।

অবিলম্বে ইভিএম কেনার উদ্যোগ বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ইসির প্রতি জনগণের আস্থাহীনতাকে আরও ঘনীভূত করবেন না। এখনও সময় আছে, জনগণের কথা ভাবুন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- এই ডিজিটাল কারচুপির পথ থেকে সরে আসুন।

বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ইভিএম মেশিন সংগ্রহ করতে একদল দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে কিছু দিন আগে আইডিইএ প্রকল্প শেষে বিএমটিএফে পদায়ন করা হয়েছে।

ইসির সদ্য সমাপ্ত পিইআরপি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বসানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

নির্বাচন কমিশনের এ দুটি প্রকল্পের শত শত কোটি টাকার হিসাব জনগণ জানতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে ‘দলবাজ ও দুর্নীতিপরায়ন’ হিসেবে আখ্যা দেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ইসি সচিব গণমাধ্যমকে বলেছিলেন- আরপিও সংশোধন করা হবে না। তা হলে কেন আরপিও সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।