ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ২

ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলে এ ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতি গ্রুপের আল-আমিন মিলন ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের হিমেল চাকমা নামে ২ কর্মী আহত হয়েছে।

আহত আল আমিন মিলন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। হিমেল চাকমা হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর মিলনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুরে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী রেজওয়ান সাদ্দাম হল থেকে বের হচ্ছিল। এসময় সভাপতি গ্রুপের কর্মী মিলন রেজওয়ানকে কটুক্তি করে। রেজওয়ান তাকে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে কথাকাটি ও একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর মিলনসহ ৮ থেকে ১০ জন লাঠি, হকিস্টিক, ক্রিকেটে খেলার ব্যাট ও স্ট্যাম্প নিয়ে রেজওয়ানকে ধাওয়া দেয়। রেজওয়ান সেখান থেকে পালিয়ে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী রিমন, নীলসহ ১০ থেকে ১২ জনকে নিয়ে মিলনদের ধাওয়া দেয়। মিলনরা পালিয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে যায়।

এর কিছুক্ষণ পর সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী হিমেল চাকামা হলের ভেতরে গেলে মিলনরা হিমেলকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর উত্তেজিত কর্মীরা সাদ্দাম হোসেন হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে ভাংচুর চালায়।

এসময় সাদ্দাম হোসেন হলসহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। এরপর ইবি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কমলেশ দাস পুলিশের ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এদিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের বের করতে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল খায়েরকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শাখা ছাত্রলীগ। কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ আলী ও আরব আলীকে সদস্য এবং আলমগীর হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির ফলে এমনটি হয়েছে। আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। এখন পরিস্থিতি শান্ত।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আাগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এর প্রতিবেদন জামা দিতে বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারনে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। বিষয়টি শোনামাত্রই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করেছি।’
স/শ