সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ধার্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এর আগে ২১ জুন ইন্টারনেটের এ ভ্যাট প্রথমে ৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন এই ভ্যাট আরও কমানোর জন্য।
এরপর সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের যে ফাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বাক্ষর করেছেন সেখানে ইন্টারনেটের ভ্যাট রাখা হয় ৫ শতাংশ। ইন্টারনেটের ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সোমবার (২৫ জুন) মোস্তাফা জব্বার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বলেন, ‘আজ (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি ভ্যাট ৫ শতাংশ করে ফাইলে সই করেছেন। ফলে এখন থেকে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজেট পাসের দিনই প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেবেন। এরপরই এটি কার্যকর করা হবে।’
এ সিদ্ধান্তে ১০০ টাকায় যে ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে হতো গ্রাহককে, এখন থেকে দিতে হবে ৫ টাকা। সব ধরনের ইন্টারনেটের ওপর এটা প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেটে নতুন করে ভ্যাট বাড়ানো না হলেও আগে থেকে বিদ্যমান ভ্যাট কমানো হয়নি। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের অন্যতম দাবি ছিল ভ্যাটমুক্ত ইন্টারনেটের। সাবেক বেসিস ও বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বারও দীর্ঘদিন থেকে ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সর্বশেষ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে ইন্টারনেটের এ ভ্যাট ছাড়ের প্রতিশ্রুতিও তিনি আদায় করে নিয়েছিলেন। মন্ত্রী হওয়ার পরও বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বুধবার (২০ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানায় অ্যামটব, বেসিস, বিসিএস, বিএমপিআইএ, আইএসপিএবি, বাক্য ও ই-ক্যাব। তবে এর মধ্যে ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার নিয়ে একাট্টা ছিলেন সবাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনগুলোর নেতারা জানিয়েছিলেন, ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশের গন্তব্য যাওয়া কঠিন হবে। ইন্টারনেটের ওপর ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কর থেকে সরকার খুব সামান্যই আয় করে। অথচ কর তুলে দিলে দীর্ঘমেয়াদে যে সুফল আসবে সেটি অপরিসীম।
ইন্টারনেটের এ ভ্যাট কমানোয় আশাবাদী এই খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এতে করে ইন্টারনেট সেবার দাম কমবে না। গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা কেনার (ব্যবহারের) খরচ কমবে। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল ইন্টারনেটের দাম কমানোর।